ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমাজ উন্নয়নে নারীদের উদ্যোক্তা হতে হবে –মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব

‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব

মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য, সমাজের কোনো শ্রেণিকে অনগ্রসর রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব হবে না এক্ষেত্রে দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারীর ভূমিকা ব্যাপক। সমাজ উন্নয়নে বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে হবে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নাজমা মোবারেক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে নির্যাতিতাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে বাদ দিয়ে সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনীতিসহ সব সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণেরচিন্তা করেছিলেন এভাবেই তিনি নারী উন্নয়নে বিভিন্ন সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার নির্দেশিত পথে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সংকল্পবদ্ধ এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন হচ্ছে জানিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নানা পরিকল্পনার ফলে নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়েও নারীরা বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। এ সময় তিনি নারীদেরকে শুধু চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বন্ধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্ববান জানান।
অনুষ্ঠানেঅর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী এই পাঁচ ক্যাটাগরিতেএ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতমোট ৪০ জনের মধ্যে থেকে চূড়ান্ত ফলাফলে ৫ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এবার পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে সিরাজগঞ্জের ইলা রানী ঘোষ, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে রাজশাহীর কল্যানী মিনজি, সফল জননী নারী হিসেবে সিরাজগঞ্জের রেহেনা পারভীন মীরা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমী নারী হিসেবে রাজশাহীর সায়েমা পারভীন ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নাটোরের মোছাঃ শেফালী খাতুন।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয় ও সনদসহ ২৫ হাজার করে টাকা এবং জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত অপর ৩৫ জয়িতার প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক, সনদসহ ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেবিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ১০জয়িতার জীবন সংগ্রামের উপর নির্মিততথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে শিশু ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচারক (গ্রেড-১) কেয়া খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জসীম উদ্দীন হায়দার, বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি হেমায়েতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: সাইফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয় এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় যৌথভাবে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

রাজশাহীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ শীর্ষক আলোচনা সভা

সমাজ উন্নয়নে নারীদের উদ্যোক্তা হতে হবে –মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব

আপডেট সময় ০৫:০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য, সমাজের কোনো শ্রেণিকে অনগ্রসর রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব হবে না এক্ষেত্রে দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারীর ভূমিকা ব্যাপক। সমাজ উন্নয়নে বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে হবে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নাজমা মোবারেক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে নির্যাতিতাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে বাদ দিয়ে সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনীতিসহ সব সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণেরচিন্তা করেছিলেন এভাবেই তিনি নারী উন্নয়নে বিভিন্ন সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার নির্দেশিত পথে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সংকল্পবদ্ধ এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন হচ্ছে জানিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নানা পরিকল্পনার ফলে নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়েও নারীরা বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। এ সময় তিনি নারীদেরকে শুধু চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বন্ধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্ববান জানান।
অনুষ্ঠানেঅর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী এই পাঁচ ক্যাটাগরিতেএ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতমোট ৪০ জনের মধ্যে থেকে চূড়ান্ত ফলাফলে ৫ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এবার পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে সিরাজগঞ্জের ইলা রানী ঘোষ, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে রাজশাহীর কল্যানী মিনজি, সফল জননী নারী হিসেবে সিরাজগঞ্জের রেহেনা পারভীন মীরা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমী নারী হিসেবে রাজশাহীর সায়েমা পারভীন ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নাটোরের মোছাঃ শেফালী খাতুন।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয় ও সনদসহ ২৫ হাজার করে টাকা এবং জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত অপর ৩৫ জয়িতার প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক, সনদসহ ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেবিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ১০জয়িতার জীবন সংগ্রামের উপর নির্মিততথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে শিশু ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচারক (গ্রেড-১) কেয়া খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জসীম উদ্দীন হায়দার, বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি হেমায়েতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: সাইফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয় এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় যৌথভাবে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।