ঢাকার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭নং নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাজীরচট এলাকায় গাজির দরগারপাড় সরকারি পুকুর থেকে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা মাছ চুরির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় মীর বংশের মীর দেলোয়ার এক সংবাদ সম্মেলন এবং তার ছেলে সাহেদ মীর আশুলিয়া থানায় এক অভিযোগ দায়ের করে এসব দাবি করেন। দেলোয়ার বলেন, বিগত প্রায় ৪৫ বছর ধরে তাদের পরিবার এই সরকারি জলমহল টি (দরগারপাড় পুকুর) রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দরগারপাড় পুকুরের পাশে এক সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার মীর বলেন, এই সরকারি পুকুরটি আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে সেই সুত্রে এখন আমার পরিবার দেখাশোনা দায়িত্বে আছে। তিনি জানান, আমার পরিবারের নিজস্ব অর্থায়নে এই পুকুরে মাছ ছাড়া হয় এবং সেই মাছ অত্র এলাকার গরিব জনসাধারণ মাঝে বিতরণ করা হয় এবং কিছু মাছ বিক্রি করে লভ্যাংশ পুকুর পাড়ে একটি কবরস্থান (গাজির দরগা কবরস্থান) আছে সেটার রক্ষণাবেক্ষণসহ এবং স্থানীয় মসজিদ মাদ্রাসায় দান করা হয়।
এদিকে মাছ চুরির চেষ্টার অভিযোগে দেলোয়ার মীরের ছেলে সাহেদ মীর(২৮) একই এলাকার মোঃ আবজাল খান (৪৫) পিতা: জব্বার খান সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে বিবাদী করে আশুলিয়া থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উক্ত বিবাদী বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ছিল এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও লুটতরাজের সাথে জড়িত। বিবাদী তাহার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন সহ গত ইং ১৭/১১/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৮:০০ ঘটিকার সময় মাছ ধরার জাল এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বে-আইনী ভাবে দলবদ্ধ হয়ে অভিযোগকারী সাহেদ মীরের মাছ চাষের পুকুরের নিকট এসে জড়ো হয়। সে সময় সাহেদ মীরের পরিবার বাধা দিলে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযোগকারী আশঙ্কা করেন, বিবাদীগন পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে যেকোনো সময় পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যেতে পারে। তাই যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিবাদী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক শাহ জালালের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সম্পুর্ন বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছি। যেহেতু এখনো বিষয়টি তদন্তাধীন তাই এই মুহূর্তে কোন মন্তব্য করতে চাই না।