মোঃ সোহেল মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) গাজীপুর মহানগর শাখার উদ্যোগে গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ খাইলকুর সোহাদ কমিউনিটি সেন্টারে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও একাত্তরের বীর শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় জিসাসের গাজীপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক এডভোকেট ফেরদৌস হাসান অভির সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিয়ামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাহিদ গুলনার ইভা।
এর আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন মাওলানা আহমাদুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,
জিসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রিনা খান, ইমাম সিদ্দিকী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটি, ইমরান হোসেন খান সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটি, কামাল উদ্দিন রিয়াদ সদস্য সচিব জিসাস গাজীপুর মহানগর শাখা, জিসাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খ ম জাহাঙ্গীর আলম, গাছা থানা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আবুল হাসেম, টঙ্গী পশ্চিম থানা যুবদলের সহ-সভাপতি এমরান হোসেন খান, গাছা থানার সাবেক যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ রুবেল সরকার, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক খানসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ নূরে আলম মাতব্বর, ইমদাদুল হক এমদাদ, মোহাম্মদ শাহিন শাহ ও রশিদুল ইসলাম।এছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা বিজয় লাভ করেছি। এটি ছিল আমাদের প্রথম বিজয়।আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দ্বিতীয় বিজয় অর্জন করেছি।দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বাঙালি জাতির উপর জগদ্দল পাথরের ন্যায় ভর করেছিল। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি।
ছাত্র জনতার তুমুল আন্দোলনে অবশেষে স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে।স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন,আমরা রক্তের বিনিময়ে এ বিজয় পেয়েছি। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এ বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য। তাই জাতীয় স্বার্থে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যাতে করে আমাদের এই কষ্টার্জিত বিজয়কে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে।
অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন একটি সংস্কৃতি মনা সংগঠন। সুতরাং সংস্কৃতি মনা শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী যে কেউ এই সংগঠনে যোগ দিতে পারবেন। তবে অনুপ্রবেশকারীরা সাবধান। আমরা চাই সংস্কৃতিমনা বিএনপিকে ভালোবাসা লোক এই সংগঠনে বেশি আসুক।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সংস্কৃতি কর্মী। তিনি সংস্কৃতিকে ভালোবাসতেন। সুতরাং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য জিসাসের প্রতিটি কর্মী কে নিরলস কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে বেগম জিয়ার রোগ মুক্তি ও সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।