all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় মুন্সি আব্দুর রউফ
তাঁদের অন্যতম। তিনি ১৯৬৩ সালের ৮ মে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি নিয়মিত পদাতিক সৈন্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বুড়িঘাট গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল (মতান্তরে ২০ এপ্রিল) তিনি মর্টার শেলের আঘাতে শহীদ হন। তাঁকে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে একটি টিলার ওপর সমাহিত করা হয়।
আজ মহান বিজয় দিবসে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) শ্রদ্ধা র সাথে নানা আয়োজনে র মাধ্যমে পালন করেন। আজ মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মহান স্বাধীনতা যু্দ্ধে সর্বোচ্চ আত্নাহুতিদারী শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, পিবিজিএম, পিএসসি, বিজিবি, সেক্টর কমান্ডার, রাঙ্গামাটি। অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) এর চৌকষ ও সুসজ্জিত গার্ড দলের সদস্যগণ গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং বিউগলের অন্তিম সুরে উপস্থিত সকলে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির এই সূর্য সন্তানকে। এই উপলক্ষ্যে সেক্টর কমান্ডার, রাঙ্গামাটি বলেন, আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার চেংড়ী খালে প্রতিরক্ষা অবস্থানে থাকাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দলের ০২টি লঞ্চ ও ০১টি স্পীডবোটকে মেশিন গান দিয়ে গুলি করে নদীতে ডুবিয়ে দেন। তাঁর এহেন বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার ফলে পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দল পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনীর মর্টারের গুলি আঘাতে এই স্থানে মহান অকুতোভয় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ শাহাদাত বরণ করেন। আর এই মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমেই অর্জিত হয় আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা। বাংলাদেশ সরকার তার বীরোচিত আত্মত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ উপাধি `বীরশ্রেষ্ঠ‘ খেতাবে ভূষিত করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া ও স্থানীয় সাংবাদিক সহ এলাকার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।