জবা, ও বাহারি বাগানবিলাস সহ আরো অনেক প্রজাতির গাছ। সড়কের ফুটপাথে বা পাশে লাগানো হয়েছে কোনো সড়কে ছাতিম তো কোনো সড়কে পলাশ, কাঞ্চন , সোনালু , কৃষ্ণচূড়া ,জারুল , রাধাচূড়া, বকুল, নিম প্রভৃতি। এই বছরে বিমানবন্দর সড়কে, কাটাখালী-তালাইমারী সড়কে , সিটি হাট সড়ক এবং কাশিয়াডাঙ্গা সড়কে গাছ রোপন করা হয়েছে।
এছাড়া রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কিছু সংখ্যক সংরক্ষিত পুকুরগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে কাজ করছে। নগরীর বিভিন্ন পুকুর সংরক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে এগুলোকে কেবল জলাধার হিসেবে নয়, একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত ও পরিবেশবান্ধব স্থান হিসেবেও গড়ে তোলা হয়েছে। পদ্মা আবাসিকের পারিজাত লেক, সপুরা মঠ পুকুর, পদ্ম পুকুর, টিবিপুকুর এগুলির অন্যতম। প্রতিটি পুকুরের পাড়ে সবুজ ঘাস, ছায়াদার গাছ, এবং মাঝে মাঝে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব পুকুরের স্বচ্ছ জল আর পাড়ের সুশোভিত সবুজায়ন নগরবাসীর জন্য শান্তি ও নির্মলতার স্থান তৈরি করেছে। রাত্রে আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো পুকুরগুলো আরও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা রাজশাহীর অন্যতম পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। এই সবুজায়ন ও পুকুর সংরক্ষণের উদ্যোগগুলো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরিবেশবান্ধব শহর নির্মাণের প্রচেষ্টাকে সফলভাবে ফুটিয়ে তুলছে।
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে, রাজশাহী সিটি একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশ-বান্ধব শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাসিকের বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়ন উদ্যোগ শহরের বায়ু মান উন্নত করেছে, তাপমাত্রা হ্রাসে অবদান রেখেছে এবং বাসিন্দাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিয়ত সবুজায়ন ও পরিবেশ উন্নয়নে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে, যা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পরিবেশ বান্ধব এ নগরীর সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আনাগোনো বেড়েই চলেছে।