ঢাকার আশুলিয়ায় বাসাবাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতি হওয়া স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মোঃ শাহীনুর কবির।
এর আগে বুধবার বিকেল ডিএমপির কামরাঙ্গীরচর ও সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ডাকাতদলের মূলহোতা রফিক (৪০), সে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার শ্রীমদ্দি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে, শরীয়তপুর জেলার পালং থানার চরসন্ধী এলাকার মৃতঃ জব্বার তালুকদারের ছেলে ওহাব তালুকদার (৩৯), ডিএমপির কদমতলী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে স্বপন মিয়া (৪০), ও ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী কুন্দাইদা এলাকার মোঃ শামছুলের ছেলে মোঃ রুবেল (৩০)।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ অক্টোবর রাতে আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার সার্জেন্ট (অবঃ) মোঃ জহিরুল ইসলাম এর বাসায় ০৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ীর ওয়ালের সাথে থাকা ১ তালা বাড়ীর ছাদে উঠে ছাদের সিড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে।
বাসায় উপস্থিত থাকা নারী ও শিশুদের কে জিম্মি করে সর্বমোট ২ লক্ষ ৪৫ হাজার নগদ টাকা এবং ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন বাসায় কোন পুরুষ লোক ছিল না এবং বাসার একমাত্র পুরুষ সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম ৪০ দিনের চিল্লায় গিয়েছিলন।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ক্লুলেস চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ঘটনার সহিত জড়িত ৮ জন ডাকাত কে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল ডিএমপি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্বপন, ওহাব ও রুবেল নামের তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তার ওহাবের দেওয়া তথ্য মতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার রফিককে গাজীপুরের কাশিমপুর বাজার এলাকা হতে সন্ধ্যার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে রফিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার ঘোষবাগ পশ্চিমপাড়া তার নিজ বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে অত্র মামলার লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মোঃ শাহীনুর কবির বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সকলেই আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং তাদের দলের সর্দার রফিক। ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।