Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
খাগড়াছড়ি পাহাড়িদের এবার বর্ণিল আয়োজনে হবে বৈসাবি উৎসব।
ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৪ এপ্রিল তৃতীয় দিনটি হলো গজ্জ্যেপজ্জ্যে

খাগড়াছড়ি পাহাড়িদের এবার বর্ণিল আয়োজনে হবে বৈসাবি উৎসব।

  • বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:১৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

এবার বর্ণিল আয়োজনে হবে বৈসাবি উৎসব
বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় আগামী ১২ এপ্রিল সকালে বর্ণাঢ্য কর্মসূচিসহ নানা আয়োজনে পাহাড়বাসীর প্রাণের উৎসব ঐতিহ্যবাহী বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু ও বাংলা নববর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঁইয়া, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের প্রতিনিধি মেজর জাহিদ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খিসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এইচ এম এরশাদ, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধী ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবছর প্রথমে ১২ এপ্রিল নদীতে ফুল ভাসানো ও বসতঘর সাজানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব। পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছর বরণকে সামনে রেখে গ্রামে-গ্রামে চলে নানা আয়োজন। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্যবাহী নানা খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অতিথি আপ্যায়ন। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে আনন্দ র‌্যালি, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী পানি উৎসব, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের গড়িয়া নৃত্যর ও চাকমাদের খেইগ্রং উৎসব আয়োজন করে থাকে।

১৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দিন পালন হয় মূল বিঝু। এই দিনে ঘরে ঘরে রান্না হয় সাঁইত্রিশ প্রকার সবজি আর কাঁচা কাঁঠালের মিশ্রণে মজাদার পাঁচন। পাঁচন রান্না করে ধর্মীয় গুরুদের জন্য মন্দিরে পৌঁছে দিয়ে পরিবারের সবার জন্য প্রার্থনা চায় সবাই। তা ছাড়া এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে ডেকে পাঁচন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

১৪ এপ্রিল তৃতীয় দিনটি হলো গজ্জ্যেপজ্জ্যে। এই দিনটি বেশি আনন্দের। কেউ কেউ আনন্দ করে কেউবা মন্দিরে গিয়ে ধর্মগুরুদের কাছে ধর্মনির্দেশনা শোনে।

তবে দুই বছর ধরে মহামারি করোনার কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সীমিত আকারে সামাজিকতা ও ঘরোয়াভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু-সাংগ্রাইং-বিজু (বৈসাবি), বিষু, বিহু, প্রহেলা বৈশাখ পালন করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী জেলার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী-সহ গ্রেফতার: ৩

১৪ এপ্রিল তৃতীয় দিনটি হলো গজ্জ্যেপজ্জ্যে

খাগড়াছড়ি পাহাড়িদের এবার বর্ণিল আয়োজনে হবে বৈসাবি উৎসব।

আপডেট সময় ০৯:১৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

এবার বর্ণিল আয়োজনে হবে বৈসাবি উৎসব
বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় আগামী ১২ এপ্রিল সকালে বর্ণাঢ্য কর্মসূচিসহ নানা আয়োজনে পাহাড়বাসীর প্রাণের উৎসব ঐতিহ্যবাহী বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু ও বাংলা নববর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঁইয়া, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের প্রতিনিধি মেজর জাহিদ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খিসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এইচ এম এরশাদ, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধী ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবছর প্রথমে ১২ এপ্রিল নদীতে ফুল ভাসানো ও বসতঘর সাজানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব। পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছর বরণকে সামনে রেখে গ্রামে-গ্রামে চলে নানা আয়োজন। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্যবাহী নানা খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অতিথি আপ্যায়ন। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে আনন্দ র‌্যালি, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী পানি উৎসব, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের গড়িয়া নৃত্যর ও চাকমাদের খেইগ্রং উৎসব আয়োজন করে থাকে।

১৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দিন পালন হয় মূল বিঝু। এই দিনে ঘরে ঘরে রান্না হয় সাঁইত্রিশ প্রকার সবজি আর কাঁচা কাঁঠালের মিশ্রণে মজাদার পাঁচন। পাঁচন রান্না করে ধর্মীয় গুরুদের জন্য মন্দিরে পৌঁছে দিয়ে পরিবারের সবার জন্য প্রার্থনা চায় সবাই। তা ছাড়া এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে ডেকে পাঁচন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

১৪ এপ্রিল তৃতীয় দিনটি হলো গজ্জ্যেপজ্জ্যে। এই দিনটি বেশি আনন্দের। কেউ কেউ আনন্দ করে কেউবা মন্দিরে গিয়ে ধর্মগুরুদের কাছে ধর্মনির্দেশনা শোনে।

তবে দুই বছর ধরে মহামারি করোনার কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সীমিত আকারে সামাজিকতা ও ঘরোয়াভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু-সাংগ্রাইং-বিজু (বৈসাবি), বিষু, বিহু, প্রহেলা বৈশাখ পালন করা হয়।