all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাহার আলী খানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল বাহার এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কহিদুল ইসলাম, পানানগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু এমদাদুল হক ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমান লাল্টু।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুর্গাপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তারা। রোববার দুপুরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে অশালীন মন্তব্য করেন আসামিরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী শফিকুল ইসলাম তরফদার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ৩০ জানুয়ারি দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, এ মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন আসামিরা।
এমন অভিযোগ এনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আদম আলী তার নিজের এবং ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত শনিবার দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এ বিষয়টিও আদালতের নজরে আনা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় গত ৩১ মার্চ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের দিন ধার্য থাকলেও আসামিরা এদিন আদালতে হাজির হননি। রোববার আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামি পক্ষের হয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট সবুর খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহাব জেমস ও অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব রঞ্জু। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন।