কয়েকশত ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করে দেশকে নৈরাজ্য, চাদাবাজি, দখবাজি থেকে রক্ষা করতে হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন আজ তাদের ত্যাগ ও আতœদান ভুলন্টিত হওয়ার পথে। তাদের রক্তের দাগ মাঠি থেকে শুকানোর আগের স্বৈরাচার দখলবাজদের থেকেও ভয়ংকর রুপে বিরাজ করছে গাজীপুর মহানগরীর গাছার মাঠিতে। অথচ ৫ই আগষ্ট আন্দোলনে এই গাছায় শহিদ হয়েছেন কয়েকজন ছাত্র-জনতা। সরকার পতনের পর প্রথমদিকে বিএনপি নামধারী কয়েকজন ডিস, ইন্টারন্টে, ময়লা, ফ্যাক্টরী ঝুট দখলে মরিয়া হয়ে উঠলে এখন তা রুপ নিয়েছে আওয়ামী লীগ বিএনপি ভাই ভাই, মিলে মিশে চলো খাই এই নীতিতে।
এমনি একটি ঘটনার স্বাক্ষী হলো গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার অন্তর্গত ডেগেরচালা বুড়ির মোড় নামক স্থানে। শহিদদের তাজা রক্তের উপর দিয়ে অস্ত্রেও ঝনজনানি, আধিপত্য বিস্তারে মহড়া, মহড়া দিয়ে সকলের সম্মুখে মারপিট করে ডিস ব্যবসা দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৫ টায় শান্ত ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে দখলবাজরা।
বাদীর লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিন অনুসন্ধান এবং ছবি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষন করে দেখা যায়, ডি.কে.বি ক্যাবল ভিশন প্রতিষ্ঠানের ম্যাানাজার শান্ত ইসলাম এরিয়া হতে বিল সংগ্রহ করিয়া অফিসে ফেরার পথে ডেগেরচালা বুড়ির মোড় নামক স্থানে পৌছালে পূর্ব থেকে দলবদ্ধভাবে উৎপেতে থাকা গাছা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মিন্টু মিয়া (৩২) ও গাছা থানা আওয়ামী লীগ নেতা ছমির (৪০) নেতৃত্তে ও হুকুমে অতর্কিত আক্রমন করিয়া এলোপাথারী ভাবে কিল, ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।
মিন্টু মিয়ার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শান্তর মাথা লক্ষ্যে করিয়া স্বজোরে কোপ মারিলে তাহার কোমরের বামপাশে লাগিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হওয়ায় সেখানে নয়টি স্টিচ লেগেছে। তাহার পকেটে থাকা উত্তোলনকৃত মাসিক বিলের পয়ষট্রি হাজার টাকা জোর পূর্বক কাড়িয়া নেয়। ছমির মিয়ার লোহার রড দিয়ে মাথা লক্ষ্যে করিয়া স্বজোরে বারি মাড়িলে মাটিতে পড়িয়া যায় এবং তাহার ডান পাশের চোখের নিচে লাগিয়া রক্ত জমাট জখম হয়। শাহ আলম (২৮) গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। সুজনের হাতে থাকা সুইজ গিয়ার (ছুরি) দিয়া তাহার পেটে উপর্যপুরী পোস্ মারলে সামান্য সরে যাওয়ায় তাহার পিঠের উপর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
তাহাদের সঙ্গে থাকা মোঃ বাছের (৩৬), তুহিন (৩১) জয় (২৪), হৃদয় (২৫), শাহাদাৎ হোসেন (৩৩) লেবু (৩২), মিন্টু (২৬), মোতালিব (৫৮) তাহার বুক, পেট, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি মুড়া মারিয়া মারাত্মক বেদনা দায়ক জখম করে। তাহার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে খুন জখম করার হুমকি দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালের রেজি নং-১০৮২৩/১৬ (২৪/১০/২০২৪)
ঘটনার বিষয়ে মিন্টু মিয়া বলেন, আমার লোকজন লাইনের কাজ করার সময় তাহারা বাধা প্রদান করিলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে তাহারা আসিয়া আমার বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে আক্রমন করে এতে আমার লোকজন আহত হয়েছে। আমরা থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে গাছা থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, সংবাদ পেয়ে শান্তি সৃংখলার রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি টিম পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানার জন্য উভয় পক্ষকে আগামীকাল থানায় ডেকেছি।