all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিশ্বরেকর্ড করতে মানুষ কতকিছুই না করেন। ৭৪ বছর বয়সী জন ইভান্স মাথায় বিভিন্ন ভারী বস্তুর ভারসম্য রেখে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। তবে একবার দুইবার নয় ৯৮টি বিশ্বরেকর্ড তার ঝুলিতে। ছুঁতে চান শততম রেকর্ডের মাইলফলক। এবার ৯৯ তম রেকর্ডের জন্য মাথায় তুলে নেবেন বিশাল এক গাড়ি।
ব্রিটিশ নাগরিক জন ইভান্সের বয়স এখন ৭৪ বছর। তার দক্ষতা মাথায় ভারসাম্য রাখায়। ইট-পাথরের মতো ছোট জিনিস থেকে শুরু করে আস্ত গাড়ি কিংবা ভারী চিমনিও মাথায় নিয়ে হাঁটতে পারেন তিনি। চিমনি ছাড়া আরও ভারী ভারী বস্তু সহজেই মাথায় বহন করতে পারেন তিনি। রাখতে পারেন ভারসাম্য।
বিশ্বরেকর্ড গড়া ইভান্সের কাছে যেন ডালভাত। ৯৮টি রেকর্ড এরই মধ্যে করে ফেলেছনে, এবার বিশ্বরেকর্ডে সেঞ্চুরি করাই তার একমাত্র লক্ষ্য। সামনেই তার ৭৫তম জন্মদিন। সেদিনকেই বেছে নিয়েছেন ৯৯তম রেকর্ডটি করার জন্য।
শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়েই এই বিশ্বরেকর্ডগুলো নিজের ঝুলিতে ভরেছেন ইভান্স। তার একটা চোখ নষ্ট, ডায়াবেটিস, হাঁপানি ও গলায় সমস্যা নিয়েও ভারী জিনিস মাথায় তুলছেন অনায়াসে। সুস্থ থাকলে আর দুটি রেকর্ড গড়ে শততম রেকর্ড করতে চান ইভান্স।
জন ইভান্সের বয়স যখন ১৭-১৮ বছর, তখন একটি নির্মাণ সাইটে কাজ শুরু করতেন তিনি। সেখানে ইট মাথায় করে মই বেয়ে উপরে উঠতে হতো। শুরুতে কয়েকটি করে নিলেও পরে ২৪টি পর্যন্ত তুলতে পারতেন তিনি।
এক সময় হাত ছেড়ে দিয়েও হাঁটতে শুরু করলেন। তার এমন দক্ষতা দেখে সবার অনুরোধে একটি গাড়িও তুলে ফেলেন মাথায়। সেটা হয়ে যায় বিশ্বরেকর্ড।
তবে নিজের এই দক্ষতা শুধু গিনেস বুকেই সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি। অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে গড়ে তুলেছেন একটি দাতব্য সংস্থাও। মাথায় ওজনের ভারসাম্য রাখার দক্ষতা দেখিয়ে দাতব্য সংস্থার জন্য সংগ্রহ করেছেন, ৩ লাখ ৩১ হাজার ডলারের বেশি। এজন্য তিনি বিভিন্ন সময় টিভি শো’তেও অংশ নিয়েছেন।
সূত্র: ইনসাইড এডিশন/ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড