ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে আশ্রয় দাতাকে আশ্রয়হীন করার চেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৫২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

বোন ও বোনের সন্তানদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেয়াই যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনী সহায়তা কেন্দ্র ”আসক” ফাউন্ডেশন গাজীপুর মহানগর শাখার র্ধম বিষয়ক সম্পাদক, কাজী শাহ্ আলম গাজীপুরী ও তার পরিবারের, সম্পত্তি জবর দখল করতে, পাকিস্তানি মুন্না নামে খ্যাত আপন ভাগিনা হাত তুলছেন আশ্রয় দাতা মামার উপর, কে এই মুন্না! কি তার পরিচয়।

গাজীপুর মহানগরের ৩৩ নং ওয়ার্ড উত্তর খাইলকুড়, হিন্দু বাড়ির মোড়, শহীদ সিদ্দিক রোড মাওলানা কাজী শাহ্ আলম গাজীপুরীকে, প্রতিনিয়ত মৃত্যুর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মোহাম্মদ আলী মুন্না ওরফে (পাকিস্তানি মুন্না), সরেজমিনে জানা যায়, পারিবারিক সূত্রে মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর ভাগিনা তিনি। মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর বোন মোছাঃ হোসনেয়ারা বেগম প্রায় ৩৫ বছর আগে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পাকিস্তানে চলে যান, এমতাবস্থায় নোয়াখালীর নুর আলম নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে সম্পন্ন হয় ।
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে পাঁচ ছেলে সন্তানের জন্মদাত্রী তিনি ।পারিবারিক কলহের কারণে পাকিস্তান থেকে পাঁচ সন্তান নিয়ে স্বামীকে রেখে ২০০৪ সনে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন।বাংলাদেশে এসে আশ্রয়ের জায়গা হিসেবে তার আপন ভাই মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর বাসায় আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে অসহায় এই পরিবারটি মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর ভরণ পোষণেই চলছিল ।
আস্তে আস্তে ছেলে সন্তানগুলো বড় হতে থাকে । হোছনেয়ার সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় জায়গা সংকীর্ণতার কারণে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে।
অসহায় এই পরিবারের ছেলে সন্তান গুলো জীবিকা নির্বাহ করার তাগিদে ধিরে ধিরে এলাকায় প্রভাবশালীদের আশ্রয় নিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তাদের ছত্রছায়ায়, সমাজের বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হতে থাকে। অসহায় পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া মাওলানা শাহ্ আলম গাজীপুরীর উপর একের পর এক অত্যাচার চালাতে থাকে।
হোছনেয়ারা মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর আপন বোন হওয়ায়, ওয়ারীশ সূত্রে পাওনা সম্পদের চাইতে বেশি ভোগ দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দখল করেছেন প্রথম আশ্রয় নেওয়া ঘরটিও ।মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরী, রুম ছেড়ে যেতে বললে ঘটতে থাকে একের পর এক, হুমকি, হামলার ঘটনা।
পাকিস্তানি মুন্না খ্যাত মোহাম্মদ আলী মুন্না কয়েকবার পরিবারসহ এই শাহ্ আলম গাজীপুরীর উপরে হামলা করে এবং রক্তাক্ত জখম করে।এই পাকিস্তানি মুন্নার বিরুদ্ধে রয়েছে থানায় ও আদালতে রয়েছে একের অধিক মামলা।
জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে সাবেক কাউন্সিলর মনির হাজীর আপন খালাতো ভাইয়ের সাথে মারামারির ঘটনায় সদ্য জেল থেকে বের হয়েছেন এই পাকিস্তানি মুন্না ।
বর্তমানে ৩৩নং ওয়ার্ডের আতঙ্কের নাম পাকিস্তানী মুন্না।এলাকাবাসীর ধারণা এলাকাবাসীর শান্তির চাইতে মাদক তার কাছে বেশি প্রিয়। কেউ প্রতিবাদ না করায় দিন দিন বেড়েই চলেছে তার বেপরোয়া জীবনযাপন। প্রতিনিয়ত আতংকে রয়েছেন শাহ আলম গাজীপুরী ও তার পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর বাবা মৃত হযরত আলী দুইটি সংসার করেছিলেন প্রথম সংসারে শাহ আলম গাজীপুরী এবং হোসনেয়ারা বেগম এবং দ্বিতীয় সংসারে পাঁচজন সন্তান-সন্তানাদি রয়েছে।
দীর্ঘদিন এই অসহায় পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে শেষ পরিণতি যদি হয় মৃত্যুর ভয়, তাহলে সমাজ ব্যবস্থার কতটুকু অবক্ষয় নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ তা জানতে চায়।
ওয়ারিশ সূত্রে কাজী শাহ আলম গাজীপুরীর বোন যতটুকু সম্পদ পেয়ে থাকেন ততটুকু সম্পদ তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু পাকিস্তান থেকে এসে যেই ঘরটিতে তিনি আশ্রয় নেন সেই ঘরটি এখন নিজের বলে দাবি করছেন হোছনেয়ারা। কোন কথায় যেন মানছেন না তিনি ও তার সন্তানেরা। ঘর ছেড়ে দিতে উকিল নোটিশ পাটিয়েছেন গাজীপুরী।
গত ২৮/৮/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে আট ঘটিকার সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ আলম গাজীপুরীর বাসায় হামলা করে পাকিস্তানি নাম খ্যাত পাকিস্তানী মুন্না।
আশ্রয় পাওয়া পরিবার কতৃক মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরী সহ তার পরিবারের অনেকেই জখমের আঘাত নিয়ে, গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হসপাতালে চিকিৎসা নেন। জীবন বাঁচার তাগিদে ১) পাকিস্তানী মুন্না। ২) ফায়াজ হোসেন।৩) আরিফ হোসেন।৪) হোছনেয়ারা বেগম সহ বিস্তারিত বিবরণ দেখিয়ে মোট ৪ জনের নামে হত্যাচেষ্টা ও নারী নির্যাতন আইনে, মামলা দায়ের করেন। মামলা চলমান রয়েছে ।এতকিছুর পরেও শুনছেনা কারো কথা মানছেনা কোন আইন।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ কালে প্রশাসন নিজের জায়গা শক্ত না করতে পারায় অপরাধীরা নিজের মতো করেই চলছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রতি ভুক্তভোগী মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরী সহযোগিতা চেয়ে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
পরিশেষে তিনি বলেন এমনভাবে শাস্তি প্রদান করা হোক এমন নেক্কার জনক ঘটনা যেন আর পূর্ণবৃত্তি না ঘটে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগের শাকিল বিএনপির যুবদল নেতা

গাজীপুরে আশ্রয় দাতাকে আশ্রয়হীন করার চেষ্টা

আপডেট সময় ০২:৫২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

বোন ও বোনের সন্তানদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেয়াই যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনী সহায়তা কেন্দ্র ”আসক” ফাউন্ডেশন গাজীপুর মহানগর শাখার র্ধম বিষয়ক সম্পাদক, কাজী শাহ্ আলম গাজীপুরী ও তার পরিবারের, সম্পত্তি জবর দখল করতে, পাকিস্তানি মুন্না নামে খ্যাত আপন ভাগিনা হাত তুলছেন আশ্রয় দাতা মামার উপর, কে এই মুন্না! কি তার পরিচয়।

গাজীপুর মহানগরের ৩৩ নং ওয়ার্ড উত্তর খাইলকুড়, হিন্দু বাড়ির মোড়, শহীদ সিদ্দিক রোড মাওলানা কাজী শাহ্ আলম গাজীপুরীকে, প্রতিনিয়ত মৃত্যুর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মোহাম্মদ আলী মুন্না ওরফে (পাকিস্তানি মুন্না), সরেজমিনে জানা যায়, পারিবারিক সূত্রে মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর ভাগিনা তিনি। মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর বোন মোছাঃ হোসনেয়ারা বেগম প্রায় ৩৫ বছর আগে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পাকিস্তানে চলে যান, এমতাবস্থায় নোয়াখালীর নুর আলম নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে সম্পন্ন হয় ।
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে পাঁচ ছেলে সন্তানের জন্মদাত্রী তিনি ।পারিবারিক কলহের কারণে পাকিস্তান থেকে পাঁচ সন্তান নিয়ে স্বামীকে রেখে ২০০৪ সনে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন।বাংলাদেশে এসে আশ্রয়ের জায়গা হিসেবে তার আপন ভাই মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর বাসায় আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে অসহায় এই পরিবারটি মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর ভরণ পোষণেই চলছিল ।
আস্তে আস্তে ছেলে সন্তানগুলো বড় হতে থাকে । হোছনেয়ার সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় জায়গা সংকীর্ণতার কারণে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে।
অসহায় এই পরিবারের ছেলে সন্তান গুলো জীবিকা নির্বাহ করার তাগিদে ধিরে ধিরে এলাকায় প্রভাবশালীদের আশ্রয় নিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তাদের ছত্রছায়ায়, সমাজের বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হতে থাকে। অসহায় পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া মাওলানা শাহ্ আলম গাজীপুরীর উপর একের পর এক অত্যাচার চালাতে থাকে।
হোছনেয়ারা মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর আপন বোন হওয়ায়, ওয়ারীশ সূত্রে পাওনা সম্পদের চাইতে বেশি ভোগ দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দখল করেছেন প্রথম আশ্রয় নেওয়া ঘরটিও ।মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরী, রুম ছেড়ে যেতে বললে ঘটতে থাকে একের পর এক, হুমকি, হামলার ঘটনা।
পাকিস্তানি মুন্না খ্যাত মোহাম্মদ আলী মুন্না কয়েকবার পরিবারসহ এই শাহ্ আলম গাজীপুরীর উপরে হামলা করে এবং রক্তাক্ত জখম করে।এই পাকিস্তানি মুন্নার বিরুদ্ধে রয়েছে থানায় ও আদালতে রয়েছে একের অধিক মামলা।
জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে সাবেক কাউন্সিলর মনির হাজীর আপন খালাতো ভাইয়ের সাথে মারামারির ঘটনায় সদ্য জেল থেকে বের হয়েছেন এই পাকিস্তানি মুন্না ।
বর্তমানে ৩৩নং ওয়ার্ডের আতঙ্কের নাম পাকিস্তানী মুন্না।এলাকাবাসীর ধারণা এলাকাবাসীর শান্তির চাইতে মাদক তার কাছে বেশি প্রিয়। কেউ প্রতিবাদ না করায় দিন দিন বেড়েই চলেছে তার বেপরোয়া জীবনযাপন। প্রতিনিয়ত আতংকে রয়েছেন শাহ আলম গাজীপুরী ও তার পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরীর বাবা মৃত হযরত আলী দুইটি সংসার করেছিলেন প্রথম সংসারে শাহ আলম গাজীপুরী এবং হোসনেয়ারা বেগম এবং দ্বিতীয় সংসারে পাঁচজন সন্তান-সন্তানাদি রয়েছে।
দীর্ঘদিন এই অসহায় পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে শেষ পরিণতি যদি হয় মৃত্যুর ভয়, তাহলে সমাজ ব্যবস্থার কতটুকু অবক্ষয় নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ তা জানতে চায়।
ওয়ারিশ সূত্রে কাজী শাহ আলম গাজীপুরীর বোন যতটুকু সম্পদ পেয়ে থাকেন ততটুকু সম্পদ তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু পাকিস্তান থেকে এসে যেই ঘরটিতে তিনি আশ্রয় নেন সেই ঘরটি এখন নিজের বলে দাবি করছেন হোছনেয়ারা। কোন কথায় যেন মানছেন না তিনি ও তার সন্তানেরা। ঘর ছেড়ে দিতে উকিল নোটিশ পাটিয়েছেন গাজীপুরী।
গত ২৮/৮/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে আট ঘটিকার সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ আলম গাজীপুরীর বাসায় হামলা করে পাকিস্তানি নাম খ্যাত পাকিস্তানী মুন্না।
আশ্রয় পাওয়া পরিবার কতৃক মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরী সহ তার পরিবারের অনেকেই জখমের আঘাত নিয়ে, গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হসপাতালে চিকিৎসা নেন। জীবন বাঁচার তাগিদে ১) পাকিস্তানী মুন্না। ২) ফায়াজ হোসেন।৩) আরিফ হোসেন।৪) হোছনেয়ারা বেগম সহ বিস্তারিত বিবরণ দেখিয়ে মোট ৪ জনের নামে হত্যাচেষ্টা ও নারী নির্যাতন আইনে, মামলা দায়ের করেন। মামলা চলমান রয়েছে ।এতকিছুর পরেও শুনছেনা কারো কথা মানছেনা কোন আইন।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ কালে প্রশাসন নিজের জায়গা শক্ত না করতে পারায় অপরাধীরা নিজের মতো করেই চলছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রতি ভুক্তভোগী মাওলানা শাহ আলম গাজীপুরী সহযোগিতা চেয়ে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
পরিশেষে তিনি বলেন এমনভাবে শাস্তি প্রদান করা হোক এমন নেক্কার জনক ঘটনা যেন আর পূর্ণবৃত্তি না ঘটে।