বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের একদফা আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী, অস্ত্র, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা, ভুমিদখল সহ ১০টি সুনির্দিষ্ট মামলার আসামী কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমানের একান্ত সহযোগী এহসান উল্লাহকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর একটি দল।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭.৩০ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি টিম কক্সবাজার শহরের গোল দিঘির পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে । ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফয়জুল আযীম নোমান।
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর একটি দল কাউন্সিলর এহসান উল্লাহকে আটক করেছে। পরে থানায় হস্তান্তরের জন্য পুলিশকে খবর দেয়। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তাকে বুঝে নিয়েছে থানা পুলিশ।
ওসি বলেন, কাউন্সিলর এহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। এই সংক্রান্ত থানায় দায়ের করা একাধিক মামলায় এজাহারনামীয় আসামী তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়করা জানিয়েছেন, কাউন্সিলর এহসান উল্লাহর নেতৃত্বে আব্দুল আলিম,রুহুল কাদের ও মোবারক হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে একাধিকবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। এছাড়া তিনি হামলায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও যোগান দিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশের তথ্য মতে, সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহ নামের অস্ত্র, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা, ভুমিদখল সহ ১০টি সুনির্দিষ্ট মামলা ও শতাধিক অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এহসান উল্লাহ গত ১৮ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে এবং ০৪ আগস্ট ২৪ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ এর সাথে জড়িত ছিল। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আরো জানা যায়, এহসান উল্লাহ, চলমান দুর্গাপূজা উৎসবে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং পূজা মণ্ডপ ও পূজারীদের ওপর হামলা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিলেন। উল্লেখ্য যে, এহসানের গ্রেফতারের পরে এলাকাবাসীর মাঝে বর্তমানে স্বস্তি বিরাজ করছে।