ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাঙ্গুনিয়া গ্রামের মণীন্দ্রলাল দেবের ছেলে সন্তোষ দে (৬০), নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার বন্দর এলাকার খালেক সরকারের ছেলে বিজয় চুন্নু (৩০), মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পোড়াদহ গ্রামের মৃত কামাল ব্যাপারীর মেয়ে ময়না বেগম (৫৫), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিন মৃধার মেয়ে রোজিনা বেগম (৩৮), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের খালেক মিয়ার মেয়ে ও লিটন সরকারের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩৬)।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, প্রথম সচিব আসাদুজ্জামান ও রেজাউল হক, আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, ওসি ইমিগ্রেশন আবু বকর ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরকালে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে ফেরত আসা সবাইকে জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সিলিং সেবা ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান তাদের হাতে এগুলো তুলে দেন।
এর আগে ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, যারা ফিরেছেন, তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তারা কিছুই স্মরণ করতে পারছেন না। কীভাবে তারা সেখানে পৌঁছালেন, সেটিও তাদের মনে নেই।
আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার বলেন, দেশে ফেরা সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সরকারি সূত্র জানায়, ভারত থেকে ফেরা পাঁচ বাংলাদেশিই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হন। পরে আদালতের নির্দেশে আগরতলার মডার্ন সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েকজন এই হাসপাতালে (চার থেকে পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময়) ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন চুন্নু মিয়া মানসিকভাবে সুস্থ হলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না।