ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর বাগমারার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে যুবদল ছাত্রদলের নানা অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহ’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়নের যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বেলাল হোসেন শাহ’র বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে এবং তাদের দিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ছাত্র-জনতার হাতে নতুন ভাবে স্বাধীন হওয়া দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন এক বিশেষ বাহিনী। তার গড়া এই বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে হামিরকুৎসা ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, যুবদল কর্মী নান্নুর রশিদসহ অন্যান্যদের লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, হামিরকুৎসা বাজারের একটি কক্ষ ট্রাক সমিতির নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম অফিস হিসেবে ব্যবহার করতো। সেখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগ- যুবলীগের নেতাকর্মীরা ওঠাবসা করছে। এই অফিস থেকে বর্তমানে বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজি করে আসছে আওয়ামী লীগ নেতা তালিকাভুক্ত চরমপন্থী আব্দুর রশিদ শাহ ও তার অনুসারীরা। সেখান থেকে প্রতি মাসে মাসোহারা পেতেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহ। ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মী গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে ওই অফিসে গিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনের গোপন বৈঠকের জন্য ওঠাবসা এবং চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বলে। তখন রশিদ শাহ বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহকে ফোন করেন। এসময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিকো, তার সহযোগী যুবলীগ কর্মী সোহেল, আজিম উদ্দিন, তুষার, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইমনের সহযোগী দিনার, রশিদ শাহ’র জামাই চরমপন্থী আয়নাল হোসেন, চরমপন্থী মোজাম্মেল হোসেন, রশিদ শাহ’র ছেলে নিশান, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জেএমবির আলোচিত মামলার বাদি পলাশী গ্রামের আয়ুব আলীসহ বেশ কিছু অনুসারীদের নিয়ে বেলাল হোসেন শাহ সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই অফিস বন্ধ হবে না বলে ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীদের হুশিয়ারি দেয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বেলাল শাহ দেশীয় অস্ত্র বের করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওসারকে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তাকে প্রতিহতের চেষ্টা করলে বেলালের অনুসারীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের অসুস্থ পিতাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একা পেয়ে বেলাল শাহ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

একই তারিখ রাতে কালুপাড়া গ্রামের যুবদল কর্মী সাদ্দাম হোসেন কে মারপিট করে বেলালের অনুসারী যুবলীগ সাধারন সম্পাদক রিকো, বাবু, আনোয়ারসহ কয়েকজন মিলে তাকে তুলে নিয়ে এসে মারপিট করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, গত ১০ সেপ্টেম্বর হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ছাত্রদল কর্মী মিমকে বেলাল শাহ, যুবলীগ কর্মী সোহেলসহ কয়েকজন অনুসারী মিলে মারপিট করে। তাকে ওই বাজারে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়। এছাড়া ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে তার দোকানের ভেতরই মারপিট করে আহত করে। তিন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এলাকায় গেলে ছাত্রদল ও যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীদেরও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বেলাল বাহিনী। বেলাল স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আলতাফ হোসেনকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী।

সংবাদ সম্মেলনে হামিরকুৎসা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন জানান, সরকার পতনের পর থেকেই বেলাল বাহিনীর তান্ডবে এলাকার জনসাধারণের মাঝেও আতংক দেখা দিয়েছে। হামলা, ভাংচুর ও চাঁদাবাজির খবর এলাকাবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার দাবি, এলাকায় বেলাল বাহিনীর কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে দলীয় লোকজন। বিএনপির সভাপতি হয়ে এরকম সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপ করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে চলেছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এছাড়াও দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বিএনপির পদ পদবী ব্যবহার করে সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় অবিলম্বে বেলাল হোসেন শাহকে বিএনপি থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবদল সদস্য নান্নুর রশিদ, ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল সদস্য মাসুদ, প্রমুখ। #

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

রাজশাহীর বাগমারার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে যুবদল ছাত্রদলের নানা অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহ’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়নের যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বেলাল হোসেন শাহ’র বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে এবং তাদের দিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ছাত্র-জনতার হাতে নতুন ভাবে স্বাধীন হওয়া দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন এক বিশেষ বাহিনী। তার গড়া এই বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে হামিরকুৎসা ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, যুবদল কর্মী নান্নুর রশিদসহ অন্যান্যদের লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, হামিরকুৎসা বাজারের একটি কক্ষ ট্রাক সমিতির নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম অফিস হিসেবে ব্যবহার করতো। সেখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগ- যুবলীগের নেতাকর্মীরা ওঠাবসা করছে। এই অফিস থেকে বর্তমানে বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজি করে আসছে আওয়ামী লীগ নেতা তালিকাভুক্ত চরমপন্থী আব্দুর রশিদ শাহ ও তার অনুসারীরা। সেখান থেকে প্রতি মাসে মাসোহারা পেতেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহ। ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মী গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে ওই অফিসে গিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনের গোপন বৈঠকের জন্য ওঠাবসা এবং চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বলে। তখন রশিদ শাহ বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহকে ফোন করেন। এসময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিকো, তার সহযোগী যুবলীগ কর্মী সোহেল, আজিম উদ্দিন, তুষার, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইমনের সহযোগী দিনার, রশিদ শাহ’র জামাই চরমপন্থী আয়নাল হোসেন, চরমপন্থী মোজাম্মেল হোসেন, রশিদ শাহ’র ছেলে নিশান, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জেএমবির আলোচিত মামলার বাদি পলাশী গ্রামের আয়ুব আলীসহ বেশ কিছু অনুসারীদের নিয়ে বেলাল হোসেন শাহ সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই অফিস বন্ধ হবে না বলে ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীদের হুশিয়ারি দেয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বেলাল শাহ দেশীয় অস্ত্র বের করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওসারকে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তাকে প্রতিহতের চেষ্টা করলে বেলালের অনুসারীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের অসুস্থ পিতাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একা পেয়ে বেলাল শাহ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

একই তারিখ রাতে কালুপাড়া গ্রামের যুবদল কর্মী সাদ্দাম হোসেন কে মারপিট করে বেলালের অনুসারী যুবলীগ সাধারন সম্পাদক রিকো, বাবু, আনোয়ারসহ কয়েকজন মিলে তাকে তুলে নিয়ে এসে মারপিট করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, গত ১০ সেপ্টেম্বর হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ছাত্রদল কর্মী মিমকে বেলাল শাহ, যুবলীগ কর্মী সোহেলসহ কয়েকজন অনুসারী মিলে মারপিট করে। তাকে ওই বাজারে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়। এছাড়া ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে তার দোকানের ভেতরই মারপিট করে আহত করে। তিন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এলাকায় গেলে ছাত্রদল ও যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীদেরও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বেলাল বাহিনী। বেলাল স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আলতাফ হোসেনকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী।

সংবাদ সম্মেলনে হামিরকুৎসা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন জানান, সরকার পতনের পর থেকেই বেলাল বাহিনীর তান্ডবে এলাকার জনসাধারণের মাঝেও আতংক দেখা দিয়েছে। হামলা, ভাংচুর ও চাঁদাবাজির খবর এলাকাবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার দাবি, এলাকায় বেলাল বাহিনীর কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে দলীয় লোকজন। বিএনপির সভাপতি হয়ে এরকম সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপ করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে চলেছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এছাড়াও দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বিএনপির পদ পদবী ব্যবহার করে সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় অবিলম্বে বেলাল হোসেন শাহকে বিএনপি থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবদল সদস্য নান্নুর রশিদ, ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল সদস্য মাসুদ, প্রমুখ। #