ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি ঝর্ণা দ্বারা ১৫০০০ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানির চাহিদা মিটাচ্ছে

পাহাড়, বৃষ্টিপাত, ঝর্ণা ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত পানি সংরক্ষণ করে বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানীয় জলের চাহিদা মিটছে। কক্সবাজারের টেকনাফ অঞ্চলে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভূপৃষ্ঠের জল শোধনাগার স্থাপনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে আসছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্ত কক্সবাজার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছয় একর পুকুরের পাশে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। যে জায়গা আগে আবর্জনায় ভরা ছিল, সেটি খনন করে পুনঃস্থাপনের পর পানি পরিশোধনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝর্ণার উৎস থেকে সংগ্রহ করা পানি সংরক্ষণ করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করার পর রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করা হয়। প্ল্যান্টটি প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করছে। টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত প্রতিটি পরিবার এখন পানি শোধনাগার থেকে পানীয় ও অন্যান্য ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জল পাচ্ছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ডিপিএইচই এবং এডিবি-র যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত ভূপৃষ্ঠের পানি শোধনাগারে পরিশোধিত পানি পরিশোধন করা হচ্ছে। ভূপৃষ্ঠে পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, ভূগর্ভস্থ পানির চাপ কমানো, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব থেকে এলাকাকে বাঁচানো এবং এলাকার বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

বৃষ্টি ঝর্ণা দ্বারা ১৫০০০ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানির চাহিদা মিটাচ্ছে

আপডেট সময় ০৯:০৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাহাড়, বৃষ্টিপাত, ঝর্ণা ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত পানি সংরক্ষণ করে বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানীয় জলের চাহিদা মিটছে। কক্সবাজারের টেকনাফ অঞ্চলে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভূপৃষ্ঠের জল শোধনাগার স্থাপনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে আসছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্ত কক্সবাজার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছয় একর পুকুরের পাশে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। যে জায়গা আগে আবর্জনায় ভরা ছিল, সেটি খনন করে পুনঃস্থাপনের পর পানি পরিশোধনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝর্ণার উৎস থেকে সংগ্রহ করা পানি সংরক্ষণ করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করার পর রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করা হয়। প্ল্যান্টটি প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করছে। টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত প্রতিটি পরিবার এখন পানি শোধনাগার থেকে পানীয় ও অন্যান্য ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জল পাচ্ছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ডিপিএইচই এবং এডিবি-র যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত ভূপৃষ্ঠের পানি শোধনাগারে পরিশোধিত পানি পরিশোধন করা হচ্ছে। ভূপৃষ্ঠে পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, ভূগর্ভস্থ পানির চাপ কমানো, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব থেকে এলাকাকে বাঁচানো এবং এলাকার বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।