রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ডা. কেরামত আলী বলেছেন, ‘১৬ বছর পর দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। দেশের পটভূমি পরিবর্তন হওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে প্রতিশোধ নিলে আমাদেরই বেশি প্রতিশোধ নেওয়া উচিত। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আমরা প্রতিশোধ নিতে চায় না, দেশ গড়তে চায়।’
এর আগে জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতের আমির বলেন, ‘সাবেক স্বৈর শাসক শেখ হাসিনার শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের জনশক্তি। আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারি নি। এমন কি কেউ মারা গেলে জানাযার নামাজটাও পড়তে দেওয়া হয় নি। আমাদের লোকজন যে কান্না করবে সেই স্বাধীনতাটুকুও ছিল না।’
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি মিলনায়তনে রাজশাহীতে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১১ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ডা. কেরামত আলী। তিনি বলেন, ছাত্র-জনকার গণঅভ্যুত্থানের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচার হটাতে সক্ষম হয়েছি। এখন দেশ গড়ার সময়। জামায়াত দেশ গঠনে কাজ করছে। সমাজে শান্তি-শৃংখলা ফিরে আসুক এবং দেশে কাঙ্খিত সংষ্কার সাধিত হওয়ার পর সুস্থ রাজনৈতিক ধারা বজায় করুক; এটাই কাম্য।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের করা মামলার বিষয়ে নায়েবে আমির ও রাজশাহী বার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘যারা প্রকৃত অপরাধী শুধুমাত্র তাদেরকেই আসামি করা হয়েছে। কোন নিরাপরাধ মানুষ যেন মামলায় না জড়ায়, আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। আমরা শুধুমাত্র আমাদের নেতাকর্মী ছাড়া বাইরের কাউকে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কোনো ধরনের অন্যায় ও লুটের সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীদের সর্ম্পক নেই। আগামীতে অনেক কাজ আছে। আগামীতে জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় জামায়াত। আমরা নতুন প্রজন্মকে ন্যায় ও সত্য সম্পর্কে জানাতে ও চেনাতে চাই।’
এ সময় মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজউদ্দীন মন্ডল, অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। নগর জামায়াতের মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক সারোয়ার