ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে ৩ মা’ম’লায় ৩০৩ আ’সা’মি, ৭ জন গ্রে’প্তা’র

ছবি প্রতিকী

কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের চৌমুহনা এলাকায় এলে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ৬ সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ শিক্ষার্থী আহত হন।
ওই ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মামলায় আসামী করা হয় ৩০৩ জনকে। মামলা দায়ের করেন রাজনগর উপজেলার মেদেনীমহল গ্রামের আব্দুল আজিজ’র পুত্র শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির তালুকদার, সদর উপজেলার নিতেশ^র গ্রামের মোঃ রমজান আলীর পুত্র আরিফ আহমেদ ও পাগুলিয়া গ্রামের রাজনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাবেদ মিয়া। ওই ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মাত্র ৭ জনকে।
উল্লেখযোগ্য; আসামীরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রাধাপদ দেব সজল, রাজনগর উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খাঁন, জেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, একাটুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, কাউন্সিলর জালাল আহমদ, রাজনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, শেখ রুমেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি মোঃ জাকারিয়া, এড. গৌছ উদ্দিন নিক্সন, আনিছুল হক চৌধুরী তুষার, এড. পার্থ সারথী পাল, সৈয়দ সেলিম হক, এড. নিখিল রঞ্জন দাশ, এড. জুনেদ আহমদ, জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ সাব্বির খান, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আকবর আলীসহ ৩০৩ জন অভিযুক্ত করা হয়।
নন-এফআইআরভুক্ত মামলায় উল্লেখ করা হয়, গেল ৪ঠা আগষ্ট শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে যখন চৌমুহনা এলাকায় আসেন তখন আসামীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। লুটপাটসহ ভাংচুর করা হয় বিভিন্ন দোকানপাট। পৃথক ৩টি মামলার তদন্তভার দেয়া হয় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুলতানুর রহমান, নাজমুল হোসেন ও শফিকুলকে।
এক মামলার বাদী শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির তরফদার বলেন, মামলার আসামী গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তাদের দয়িত্ব পালন করছে না। আসামীরা প্রকাশ্যে দিনদুপুরে শহরে ঘুরাচ্ছে। যদি তারা আসামীদের গ্রেপ্তার না করেন তবে শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নেমে তাদের দাবী আদায় করবে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুলতানুর রহমান শুক্রবার বিকেলে বলেন, আব্দুল কাদির তরফদারের দায়ের করা মামলায় ১৫৫ জন আসামীদের মধ্যে ৪ আসামী গ্রেপ্তার হয়েছেন। থানার অপর উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন বলেন, আরিফ আহমদ’র ৪৯ জনকে আসামী করে দায়ের করা মামলায় ১ জনকে আটক করেছি। অপর মামলায় আরো ২জন গ্রেপ্তারসহ মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭জন।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল শুক্রবার বিকেলে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কয়জন আটক হয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে বলতে হবে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি, আহবায়ক এনামুল সদস্য সচিব টুটুল

মৌলভীবাজারে ৩ মা’ম’লায় ৩০৩ আ’সা’মি, ৭ জন গ্রে’প্তা’র

আপডেট সময় ০৮:১৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের চৌমুহনা এলাকায় এলে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ৬ সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ শিক্ষার্থী আহত হন।
ওই ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মামলায় আসামী করা হয় ৩০৩ জনকে। মামলা দায়ের করেন রাজনগর উপজেলার মেদেনীমহল গ্রামের আব্দুল আজিজ’র পুত্র শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির তালুকদার, সদর উপজেলার নিতেশ^র গ্রামের মোঃ রমজান আলীর পুত্র আরিফ আহমেদ ও পাগুলিয়া গ্রামের রাজনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাবেদ মিয়া। ওই ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মাত্র ৭ জনকে।
উল্লেখযোগ্য; আসামীরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রাধাপদ দেব সজল, রাজনগর উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খাঁন, জেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, একাটুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, কাউন্সিলর জালাল আহমদ, রাজনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, শেখ রুমেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি মোঃ জাকারিয়া, এড. গৌছ উদ্দিন নিক্সন, আনিছুল হক চৌধুরী তুষার, এড. পার্থ সারথী পাল, সৈয়দ সেলিম হক, এড. নিখিল রঞ্জন দাশ, এড. জুনেদ আহমদ, জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ সাব্বির খান, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আকবর আলীসহ ৩০৩ জন অভিযুক্ত করা হয়।
নন-এফআইআরভুক্ত মামলায় উল্লেখ করা হয়, গেল ৪ঠা আগষ্ট শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে যখন চৌমুহনা এলাকায় আসেন তখন আসামীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। লুটপাটসহ ভাংচুর করা হয় বিভিন্ন দোকানপাট। পৃথক ৩টি মামলার তদন্তভার দেয়া হয় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুলতানুর রহমান, নাজমুল হোসেন ও শফিকুলকে।
এক মামলার বাদী শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির তরফদার বলেন, মামলার আসামী গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তাদের দয়িত্ব পালন করছে না। আসামীরা প্রকাশ্যে দিনদুপুরে শহরে ঘুরাচ্ছে। যদি তারা আসামীদের গ্রেপ্তার না করেন তবে শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নেমে তাদের দাবী আদায় করবে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুলতানুর রহমান শুক্রবার বিকেলে বলেন, আব্দুল কাদির তরফদারের দায়ের করা মামলায় ১৫৫ জন আসামীদের মধ্যে ৪ আসামী গ্রেপ্তার হয়েছেন। থানার অপর উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন বলেন, আরিফ আহমদ’র ৪৯ জনকে আসামী করে দায়ের করা মামলায় ১ জনকে আটক করেছি। অপর মামলায় আরো ২জন গ্রেপ্তারসহ মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭জন।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল শুক্রবার বিকেলে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কয়জন আটক হয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে বলতে হবে।