ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা বটিয়াঘাটায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধ গুলো নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কায়

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া ডুমুরিয়া সড়কের ঠাকুরবাড়ি নামক স্থানে তীব্র আকারে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের দাবি, অতিদ্রুত ভাঙ্গন ঠেকাতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষয়- ক্ষতির আশঙ্কার করছেন তারা। সড়কটি ভেঙে গেলে পানিতে প্লাবিত হবে ৫টি গ্রাম। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৯ নম্বর পোল্ডারে অবস্থিত উক্ত সড়কটি। চলতি মৌসুমে অত্র এলাকায় শত শত একর জমিতে উৎপাদন হয়েছে তরমুজ ও শসা। রয়েছে অসংখ্য মৎস্য ঘের। জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে চলতি মৌসুমের বোরো আমন ধান। লীজ ঘেরের ভেড়িতে চাষাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকার সবজি । উক্ত সড়কের আশেপাশে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ হাটবাজার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো হলো বারোআড়িয়া ঠাকুর বাড়ি, বিশ্বাস বাড়ি ও বারোআড়িয়া বাজার হতে সুন্দরমহল ফুলতলা সড়কের অবস্থাও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । চলতি বর্ষা মৌসুমে ভদ্রা নদীতে তুলনামূলক ভাবে পানি বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সকল ওয়াপদা ভেড়ীবাধ গুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহন লাল পাঠক বলেন, ভদ্রা নদীর পাশেই আমার বাড়ি। নদী থেকে ২০/২৫ ফুট দূরে আমার ঘর। সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করি। দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি আমরা সব সময়। আমাদের ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সব সময়। রাতে আমরা ঘুমাতে পারিনা। নদীতে জোয়ানের পানির স্রোতের শব্দ আর ভাঙ্গারের ভয় রাতে যেন আমাদের ঘুম আসেনা। বিএনপি নেতা এনামুল শেখ বলেন, ভাঙ্গনের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। অতি দ্রুত কাজ না করলে এলাকায় পানিতে তলিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হবে। অন্যদিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি ইউনিয়নের ভগবতীপুর পূর্ব সীমান্তে মাঙ্গা নদী সংলগ্ন ওয়াপদা বেরিবাধ এর তীব্র আকারে ফাটল দেখা দিয়েছে। জোয়ারের পানি লোকালয় ঢুকতে শুরু করেছে। সোমবার সারাদিন হাজার হাজার নারী পুরুষ ও এলাকাবাসী সহ বহিরাগত লোকজন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গেলে ২০/২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। অতি দ্রুত খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি দেখভাল করবেন বলে তিনি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু, ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রাশেদ কামাল,গরিয়াডাঙ্গা কলেজের প্রিন্সিপ্যাল শশাঙ্ক বাবু, সাংবাদিক মহিদুল ইসলাম শাহীন, আল আমিন গোলদার, তুরান হোসেন রানা, আক্তারুল ইসলাম, মেম্বার যথাক্রমে কালাম হাওলাদার,ফরিদ রানা,সাকির সরদার,রুনা লায়লা,যুবদল নেতা মারুফ জমাদ্দার,সাবেক ছাত্র নেতা মুশফিকুর রহমান সাগর,আজগর আলী,ওমর আলী গাজী,আব্দুল মান্নান শেখ,দুলাল মহালদার,জামাল শেখ,মিন্টু মালি, ইউ পি সচিব ধিমান বাবুসহ অসংখ্য মানুষ। সার্বিক বিষয় জানতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা অফিসের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি, আহবায়ক এনামুল সদস্য সচিব টুটুল

খুলনা বটিয়াঘাটায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধ গুলো নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কায়

আপডেট সময় ১০:১৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া ডুমুরিয়া সড়কের ঠাকুরবাড়ি নামক স্থানে তীব্র আকারে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের দাবি, অতিদ্রুত ভাঙ্গন ঠেকাতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষয়- ক্ষতির আশঙ্কার করছেন তারা। সড়কটি ভেঙে গেলে পানিতে প্লাবিত হবে ৫টি গ্রাম। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৯ নম্বর পোল্ডারে অবস্থিত উক্ত সড়কটি। চলতি মৌসুমে অত্র এলাকায় শত শত একর জমিতে উৎপাদন হয়েছে তরমুজ ও শসা। রয়েছে অসংখ্য মৎস্য ঘের। জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে চলতি মৌসুমের বোরো আমন ধান। লীজ ঘেরের ভেড়িতে চাষাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকার সবজি । উক্ত সড়কের আশেপাশে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ হাটবাজার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো হলো বারোআড়িয়া ঠাকুর বাড়ি, বিশ্বাস বাড়ি ও বারোআড়িয়া বাজার হতে সুন্দরমহল ফুলতলা সড়কের অবস্থাও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । চলতি বর্ষা মৌসুমে ভদ্রা নদীতে তুলনামূলক ভাবে পানি বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সকল ওয়াপদা ভেড়ীবাধ গুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহন লাল পাঠক বলেন, ভদ্রা নদীর পাশেই আমার বাড়ি। নদী থেকে ২০/২৫ ফুট দূরে আমার ঘর। সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করি। দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি আমরা সব সময়। আমাদের ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সব সময়। রাতে আমরা ঘুমাতে পারিনা। নদীতে জোয়ানের পানির স্রোতের শব্দ আর ভাঙ্গারের ভয় রাতে যেন আমাদের ঘুম আসেনা। বিএনপি নেতা এনামুল শেখ বলেন, ভাঙ্গনের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। অতি দ্রুত কাজ না করলে এলাকায় পানিতে তলিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হবে। অন্যদিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি ইউনিয়নের ভগবতীপুর পূর্ব সীমান্তে মাঙ্গা নদী সংলগ্ন ওয়াপদা বেরিবাধ এর তীব্র আকারে ফাটল দেখা দিয়েছে। জোয়ারের পানি লোকালয় ঢুকতে শুরু করেছে। সোমবার সারাদিন হাজার হাজার নারী পুরুষ ও এলাকাবাসী সহ বহিরাগত লোকজন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গেলে ২০/২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। অতি দ্রুত খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি দেখভাল করবেন বলে তিনি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু, ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রাশেদ কামাল,গরিয়াডাঙ্গা কলেজের প্রিন্সিপ্যাল শশাঙ্ক বাবু, সাংবাদিক মহিদুল ইসলাম শাহীন, আল আমিন গোলদার, তুরান হোসেন রানা, আক্তারুল ইসলাম, মেম্বার যথাক্রমে কালাম হাওলাদার,ফরিদ রানা,সাকির সরদার,রুনা লায়লা,যুবদল নেতা মারুফ জমাদ্দার,সাবেক ছাত্র নেতা মুশফিকুর রহমান সাগর,আজগর আলী,ওমর আলী গাজী,আব্দুল মান্নান শেখ,দুলাল মহালদার,জামাল শেখ,মিন্টু মালি, ইউ পি সচিব ধিমান বাবুসহ অসংখ্য মানুষ। সার্বিক বিষয় জানতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা অফিসের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি