৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনরত রিকশাচালকরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট ৭ দফা দাবিতে এবং জাতীয় রিকশা ও ভ্যান চালক সংগঠন ১০ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে শাহবাগ মোড় ও আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী বলেন, আমরা আমাদের সাত দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছি। তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছেন। আমরা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছি। দাবি মানা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
আমরা রিকশার বৈধ মালিক। আমরা এক লাখ ৪৩ হাজার লাইসেন্সধারী বৈধ রিকশার মালিক। আমরা সরকারকে ট্যাক্স দেই। তবে দাবিদাওয়া নিয়ে এখনো কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের আগামীতে কোনো কর্মসূচি নেই তবে দাবি না মানলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ঐক্যজোটের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে— ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে রিকশা মালিকানার নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরোনো লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স প্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
এ ছাড়া রিকশা বাঙালি মুলুকের প্রাচীন বাহন হিসেবে (নৌকা, পালকি, ঘোড়াগাড়ি) এর মতো রিকশাকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ন্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও জাতীয় জাদুঘরে স্থান দিতে হবে; দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে দিতে হবে এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে; উত্তর সিটি করপোরেশনে গুলশান, বারিধারা ও বসুন্ধরাসহ যেসব এলাকায় বিশেষ পোশাকে রিকশা বাহিনী গড়ে তুলেছে তা বন্ধ করতে হবে।