বিয়ানীবাজার রাজনৈতিক মামলায় ৫ সাংবাদিককে আসামী করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন কর্মরত সাংবাদিকরা। হয়রানীর উদ্দেশ্যে দায়ের হওয়া এই মামলা থেকে দ্রুত সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারের দাবী জানান তারা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবে সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সাধারণ সভায় উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জানান, সাংবাদিকরা কারো শত্রু নয়। তারা সংবাদ প্রকাশের জন্য সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখেন। পেশাগত প্রয়োজনে তাদেরকে শত্রু মনে করা কারো সমীচিন নয়।
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম. হাসানুল হক উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মামলা থেকে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে। সভায় আরোও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান, ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল খালিক, সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় ও মাসুম আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ, সদস্য আবুল হাসান, কুড়ার বাজার কলেজের প্রভাষক বিজিত আচার্য, সংগ্রাম প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, আগামী প্রজন্ম’র ক্রীড়া সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ম্যাপ টিভির সিইও আমাদের সময় প্রতিনিধি সামিয়ান হাসান, আমার সংবাদ প্রতিনিধি জসীম উদ্দিন, দিবালোক’র স্টাফ রিপোর্টার ইমাম হাসনাত সাজু, বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ ওমর, সহ-সভাপতি সাদিক হোসেন এপলু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দিলু, আগামী প্রজন্ম’র স্টাফ রিপোর্টার ছাবির খান, বিয়ানীবাজার টিভির আহমদ এহসানুল কাদির, সিলেট ভিউ ২৪ ডট কম-এর হাফিজুর রহমান, ম্যাপ টিভির মুশফাকুর রহমান, সাংবাদিক আলম শাওন, সাংবাদিক আব্দুল করিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২০শে আগস্ট জনৈক নারী বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদ, সাংবাদিক ছাদেক আহমদ আজাদ, সাংবাদিক মিসবাহ উদ্দিন ও সাংবাদিক মহসিন রনির বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার বিষয়বস্তুর সাথে উল্লেখিত সাংবাদিকদের কোন সংশ্লিস্টতা নেই।