খুলনা মহানগরীতে নারী চিকিৎসকের সাথে ডেটিং করতে গিয়ে গন-ধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন কথিত সাংবাদিক বাবুল আক্তার। গতকাল রবিবার বিকেলে নগরীর আহসান আহমদ রোডের একটি রেষ্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এটিই এখন খুলনার সাংবাদিক মহলে টক অব দ্য টাউন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, দেশের সনামধন্য বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভি'র খুলনা ব্যুরো প্রধান পরিচয় দানকারী নারী লোভী কথিত সাংবাদিক বাবুল আক্তার খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের এক নারী চিকিৎসককে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে খাবার গ্রহণের ফাকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হলে রেষ্টুরেন্টে অবস্থানরত অন্য কাস্টমারেরা প্রতিবাদ করলে তিনি (কথিত সাংবাদিক বাবুল আক্তার) ক্ষিপ্ত হন এবং তাদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। এসময় সকলে তাদেরকে উত্তম মধ্যম দিতে থাকে। এসময় সেখানে সাংবাদিক মিশারুল ইসলাম মনির সেখানে উপস্থিত হয়ে বাবুলকে মারধর করতে নিষেধ করলে সু-কৌশলে কথিত সাংবাদিক বাবুল আক্তার ও ঐ নারী চিকিৎসক পালিয়ে যায় এবং সাংবাদিক মিশারুলকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তৎক্ষণাৎ সাংবাদিক মিশারুল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন যাহা জিডি নং ৯১৪ তারিখ ১৮/০৮/২০২৪ খোজ নিয়ে আরও জানা যায়, নারী লোভী কথিত সাংবাদিক বাবুল আক্তার ও খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের ঐ নারী চিকিৎসকের প্রেমের গুঞ্জন দীর্ঘ দিনের। যেটি খুলনার সাংবাদিক মহলে ওপেন সিক্রেট।
খোজ নিয়ে আরও জানা যায়, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজেকে আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক দাবী করে খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির (কেটিআরইউ) সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন বাবুল আকতার। এরপর সাংবাদিক মহলে রামরাজত্ব শুরু করেন তিনি। এছাড়াও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে আসছিলেন। এখনো তিনি আওয়ামীলীগের দালালী করছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র।
রবিবার দুপুরে ঐ রেষ্টুরেন্টে খাবার খেতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সেখানে সাংবাদিক বাবুল আক্তার উপস্থিত হয়ে এক সাথে খাবার খাবেন বলে জানালে তারা দুজন বসে খাবার খেতে থাকেন তখনি এই পরিস্থি সৃষ্টি হয় বলে দাবী করেন খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের ঐ নারী চিকিৎসক। ঐ নারী চিকিৎসক আরও বলেন আমার ভাই সেনাবাহিনীতে আছেন আমি তাকে জানিয়েছি। যারা এই সংবাদ প্রচার করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন আমার ভাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে কথিত সাংবাদিক বাবুল আক্তারের সাথে কোন মাধ্যমেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।