ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালপুরে শিক্ষার্থীদের অভিযানে ভু’য়া ডাক্তার আ’ট’ক, এক মাসের কারাদন্ড ও অর্থদণ্ড

নাটোরের লালপুরে শিক্ষার্থীরা অভিযান চালিয়ে মো.আরিফুল রহমান আনিছ নামে এক ভুয়া চক্ষু ডাক্তারকে আটক করেছে । এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ঐ চিকিৎসাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গালর্স হাই স্কুল মাকের্টের বর্ণালী চশমা ঘর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
ওই ব্যক্তি তার নামের পাশে এম এল ও পি এবং বিএনএসবি সিরাজগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক বলে লিখেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে দাবি করে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন। আমরা গোপনে জানতে পারি, তিনি কোনো ডাক্তার না, তার কোনো সার্টিফিকেট নেই। তবুও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিতেন। আজ আমরা শিক্ষার্থীরা তাকে হাতে নাতে আটক করেছি। পরে প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি, একজন ভুয়া  চিকিৎসককে তারা আটক করেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসককে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তি চিকিৎসা বা ডাক্তারির কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। এ কারণে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি, আহবায়ক এনামুল সদস্য সচিব টুটুল

লালপুরে শিক্ষার্থীদের অভিযানে ভু’য়া ডাক্তার আ’ট’ক, এক মাসের কারাদন্ড ও অর্থদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
নাটোরের লালপুরে শিক্ষার্থীরা অভিযান চালিয়ে মো.আরিফুল রহমান আনিছ নামে এক ভুয়া চক্ষু ডাক্তারকে আটক করেছে । এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ঐ চিকিৎসাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গালর্স হাই স্কুল মাকের্টের বর্ণালী চশমা ঘর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
ওই ব্যক্তি তার নামের পাশে এম এল ও পি এবং বিএনএসবি সিরাজগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক বলে লিখেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে দাবি করে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন। আমরা গোপনে জানতে পারি, তিনি কোনো ডাক্তার না, তার কোনো সার্টিফিকেট নেই। তবুও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিতেন। আজ আমরা শিক্ষার্থীরা তাকে হাতে নাতে আটক করেছি। পরে প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি, একজন ভুয়া  চিকিৎসককে তারা আটক করেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসককে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তি চিকিৎসা বা ডাক্তারির কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। এ কারণে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।