ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে বিএনপির অফিস ভা’ঙ’চু’র ও গু’লি’ব’র্ষ’ণ

রিক্সা চালককে মারধরের ঘটনায় সামাজিক বিচার নিশ্চিত করাকে কেন্দ্র (ইস্যু) করে পরিবারের সদস্যদের প্রতিপক্ষদের হেফাজতে নিয়ে স্থানীয় মিমাংশায় ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ও বাড়ীঘরে হামলা ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ৩৩ নং ওয়ার্ড খাইলকৈর মোক্তার বাড়ী রোডে।

বৃহস্পতিবার (৮আগস্ট) বেলা ১২টায় ভূক্তভূগী রিক্সাচালক কালাচানকে মারধরের অভিযোগ উঠে। জানা যায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ড কমিটির দুই বারের সভাপতি ও বর্তমান গাছা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর ছেলের সাথে এক রিক্সা চালকের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পরে আহত ওই রিক্সা চালককে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে সাবেক আ’লীগ নেতা মোশারফ খান ও বিএনপি নেতা খোরশেদ খান সামাজিক বিচারের নামে মোহাম্মদ আলীর সন্তানের অপরাধের দায় দিয়ে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলীর কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ক্ষোদ মোহাম্মদ আলীর। এসময় গুলাগুলিও করা হয় বলে নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ আলী। মোহাম্মদ আলী বলেন সন্তানের সাথে রিক্সা চালকের অপ্রিতিকর ঘটনাকে ইস্যু করে আ’লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার পর, বর্তমান বিএনপির গাছা থানা কমিটির পদপদবী দখলের অপচেষ্টায় প্রতিপক্ষরা আমার কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও এলাকায় গুলাগুলির মতো ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন এহেন ঘটনা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত, গণমাধ্যমকে তিনি আরো বলেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আহ্বায়ক সদস্য মোশারফ, এর আগে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথেও বেশ সক্রিয় ছিলেন, অপর দিকে খোরশেদ খান সাবেক বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত থাকলেও আ’লীগ সরকারের সময় নিষ্কৃয় ভূমিকায় ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন আমার পরিবারের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে, ওই বিরোধকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে পরিবারের সদস্যদের (পিতা, মাতা, ভাই, মামা) দিয়ে ভূল তথ্য দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করে আমাকে দলের পদপদবী থেকে বহিষ্কারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও করেন মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন প্রতিপক্ষের ইশারায় আমার বাড়ীঘরে হামলা করতে এসে আমার এক সহোদর আহত হয় স্থানীয়দের দারা।

মোহাম্মদ আলী বলেন বর্তমানে বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে মাঠে আসার যে আশার আলো দেখছেন সেই ক্ষমতার অংশ হবার নেশায় হাইব্রীড নেতারা (মোশারফ, খোরশেদ) বিএনপির রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে গা বাঁচাতে ক্ষমতায় আসতে এহেন কর্মযজ্ঞ ঘটিয়েছেন। তিনি জানান সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের রোষানলে পড়তে হয়েছে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের। মোহাম্মদ আলী বলেন এর আগে মোশারফ হত্যা মামলার প্রধান আসামীও ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার উদৃতিও তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সম্মূখে। তিনি বলেন ভালুকায় আলোচিত ১৮ টুকরা লাশের মামলার প্রধান আসামী মোশারফ এবং এর সাথে খোরশেদ খান জড়িত বলেও দাবী করেন মোহাম্মদ আলী।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় এলাকায় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে জনসাধারণ ও স্থানীয়রা ছুটাছুটি শুরু করেন। এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসর্বরাহকারি প্রতিষ্ঠান-সহ আশপাশের সব বিপণিবিতান বন্ধ করে দেয়া হয়। তারা জানান নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও গুলাগুলিও করা হয় ওই এলাকায়, তবে কারা গুলি বর্ষণ করেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে মোশারফ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় আমি আবার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে পোষন করেছি। তিনি বলেন রিক্সা ওয়ালাকে মোহাম্মদ আলীর ছেলে মারধর করার বিচারে প্রতিপক্ষরা (মোহাম্মদ আলী) গুলি ছুড়ে ও হামলা চালায়। এদিকে মোহাম্মদ আলীর পরিবারের ভূক্তভূগী আহত সদস্যরা বলেন জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরাও সুস্থ বিচার চান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

গাজীপুরে বিএনপির অফিস ভা’ঙ’চু’র ও গু’লি’ব’র্ষ’ণ

আপডেট সময় ০১:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

রিক্সা চালককে মারধরের ঘটনায় সামাজিক বিচার নিশ্চিত করাকে কেন্দ্র (ইস্যু) করে পরিবারের সদস্যদের প্রতিপক্ষদের হেফাজতে নিয়ে স্থানীয় মিমাংশায় ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ও বাড়ীঘরে হামলা ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ৩৩ নং ওয়ার্ড খাইলকৈর মোক্তার বাড়ী রোডে।

বৃহস্পতিবার (৮আগস্ট) বেলা ১২টায় ভূক্তভূগী রিক্সাচালক কালাচানকে মারধরের অভিযোগ উঠে। জানা যায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ড কমিটির দুই বারের সভাপতি ও বর্তমান গাছা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর ছেলের সাথে এক রিক্সা চালকের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পরে আহত ওই রিক্সা চালককে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে সাবেক আ’লীগ নেতা মোশারফ খান ও বিএনপি নেতা খোরশেদ খান সামাজিক বিচারের নামে মোহাম্মদ আলীর সন্তানের অপরাধের দায় দিয়ে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলীর কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ক্ষোদ মোহাম্মদ আলীর। এসময় গুলাগুলিও করা হয় বলে নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ আলী। মোহাম্মদ আলী বলেন সন্তানের সাথে রিক্সা চালকের অপ্রিতিকর ঘটনাকে ইস্যু করে আ’লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার পর, বর্তমান বিএনপির গাছা থানা কমিটির পদপদবী দখলের অপচেষ্টায় প্রতিপক্ষরা আমার কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও এলাকায় গুলাগুলির মতো ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন এহেন ঘটনা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত, গণমাধ্যমকে তিনি আরো বলেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আহ্বায়ক সদস্য মোশারফ, এর আগে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথেও বেশ সক্রিয় ছিলেন, অপর দিকে খোরশেদ খান সাবেক বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত থাকলেও আ’লীগ সরকারের সময় নিষ্কৃয় ভূমিকায় ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন আমার পরিবারের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে, ওই বিরোধকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে পরিবারের সদস্যদের (পিতা, মাতা, ভাই, মামা) দিয়ে ভূল তথ্য দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করে আমাকে দলের পদপদবী থেকে বহিষ্কারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও করেন মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন প্রতিপক্ষের ইশারায় আমার বাড়ীঘরে হামলা করতে এসে আমার এক সহোদর আহত হয় স্থানীয়দের দারা।

মোহাম্মদ আলী বলেন বর্তমানে বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে মাঠে আসার যে আশার আলো দেখছেন সেই ক্ষমতার অংশ হবার নেশায় হাইব্রীড নেতারা (মোশারফ, খোরশেদ) বিএনপির রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে গা বাঁচাতে ক্ষমতায় আসতে এহেন কর্মযজ্ঞ ঘটিয়েছেন। তিনি জানান সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের রোষানলে পড়তে হয়েছে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের। মোহাম্মদ আলী বলেন এর আগে মোশারফ হত্যা মামলার প্রধান আসামীও ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার উদৃতিও তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সম্মূখে। তিনি বলেন ভালুকায় আলোচিত ১৮ টুকরা লাশের মামলার প্রধান আসামী মোশারফ এবং এর সাথে খোরশেদ খান জড়িত বলেও দাবী করেন মোহাম্মদ আলী।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় এলাকায় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে জনসাধারণ ও স্থানীয়রা ছুটাছুটি শুরু করেন। এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসর্বরাহকারি প্রতিষ্ঠান-সহ আশপাশের সব বিপণিবিতান বন্ধ করে দেয়া হয়। তারা জানান নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও গুলাগুলিও করা হয় ওই এলাকায়, তবে কারা গুলি বর্ষণ করেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে মোশারফ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় আমি আবার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে পোষন করেছি। তিনি বলেন রিক্সা ওয়ালাকে মোহাম্মদ আলীর ছেলে মারধর করার বিচারে প্রতিপক্ষরা (মোহাম্মদ আলী) গুলি ছুড়ে ও হামলা চালায়। এদিকে মোহাম্মদ আলীর পরিবারের ভূক্তভূগী আহত সদস্যরা বলেন জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরাও সুস্থ বিচার চান।