প্রতিবেশি পূণীমা রানীর ডাকে সারা দিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে ধষর্ণে শিকার হয়েছে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৮ জুলাই) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ইদ্রাকপুর দাসপাড়া গ্রামে। এ ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে ঘা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।
থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানাগেছে, প্রতিবেশি দেবু দাস ও তার স্ত্রী পূর্ণীমা রানীর পরিচিত হওয়ায় একে অপরের বাড়িতে প্রায় যাওয়া আসা করতো। রোববার সকালে পূণীরা রানী ওই শারিরীক প্রতিবন্দী কিশোরীকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে অচেতন করে একটি কক্ষে আটকে রেখে ইদ্রাকপুর গ্রামের সোবাহান আলীকে দিয়ে ধর্ষন করান। পরে বিকালে ওই কিশোরী বাড়িতে যেয়ে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তারা স্থানীয় লোকজন নিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে পূর্নিমা রানী ও তার স্বামী দেবু দাস তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মহেশপুর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ ঘটনায় দাসপাড়া গ্রামের রবীন ঠাকুর,সূলীল দাসসহ কয়েক জন জানান, পূণীরা রানী এই গ্রামের বউ (পূত্রবধু) সে নিজে খারাপ এটা এলাকার সবাই জানে। তাকে তার স্বামী দেবু দাস স্পাপট করে। কিন্তুু প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে লোক দিয়ে খারাপ কাজ করাবে এটা আমরা মানবো না। তারা আরও বলেন আমরা এর শুষ্ঠু বিচার চাই, তা না হলে এই পাড়াটা নষ্ট করে ফেলবে পূর্নিমা রানী ও তার স্বামী দেবু দাস।
কিশোরীর পিতা সুকুমার জানান, আমি আমার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। যারা আমার মেয়ের এ ক্ষতি করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মাললা হয়েছে। আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।