ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাটগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বি’রু’দ্ধে ক’টু’ক্তি মা’ম’লা’র রায় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

পাটগ্রাম উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাহেরা বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম নাজুর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা গবেষক হিসেবে পরিচিত সায়েদুল ইসলাম মিঠু অপপ্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর বানোয়াট তথ্য প্রচার করে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ উঠে। ২০২০ সালে সাইবার ট্রাইবুনালে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সিটি কেস ১৩০/২২ আমলে নিয়ে আদালত দীর্ঘ চার বছর পর তাকে চলতি মাসের ৭ই জুলাই ২০১৮ এর ২৫(২) ও ২৯(১) এর প্রত্যেক ধারায় সাজা প্রদান করেন।

বাদীপক্ষের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম নাজু’র পুত্র মোহাম্মদ শোয়ায়েবুল ইসলাম সোয়েব লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে তার সাজা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, সায়েদুল ইসলাম মিঠু স্বঘোষিত গবেষক। আমার মৃত বাবার নামে তিনি ফেসবুকে কটুক্তি করেছেন। তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এছাড়াও বাবার নামে ভবন নিয়েও মিথ্যা প্রচার চালান তিনি।

মুলত তিনি তাহেরা বিদ্যাপীঠের সভাপতি হতে না পেরে এতকিছু করেছেন। তাই সাজার যে রায় হয়েছে সেটা বৃদ্ধির জন্য আমরা এই দাবি জানিয়েছি। এবিষয়ে সায়েদুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমার যদি ৭ বছরের জেলও হয় তবুও বলবো তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কারণ এসবের সব প্রমাণ আছে। আর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়া না হওয়া নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা অমুলক বলে দাবি করেন। তাদের এসব অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে তিনিও সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে অবগত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এএইচ এম সালাউজ্জামান ফারুক, সাবেক কমান্ডার জাকির হোসেন, সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালক মণ্ডলির সদস্য বাবু রতন কুমার সাহা, আহসান হাবীব স্বপন, অধ্যক্ষ আহসান উল হাবিব, উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ-দফতর সম্পাদক ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার ও আমাদের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

পাটগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বি’রু’দ্ধে ক’টু’ক্তি মা’ম’লা’র রায় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ১১:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

পাটগ্রাম উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাহেরা বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম নাজুর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা গবেষক হিসেবে পরিচিত সায়েদুল ইসলাম মিঠু অপপ্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর বানোয়াট তথ্য প্রচার করে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ উঠে। ২০২০ সালে সাইবার ট্রাইবুনালে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সিটি কেস ১৩০/২২ আমলে নিয়ে আদালত দীর্ঘ চার বছর পর তাকে চলতি মাসের ৭ই জুলাই ২০১৮ এর ২৫(২) ও ২৯(১) এর প্রত্যেক ধারায় সাজা প্রদান করেন।

বাদীপক্ষের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম নাজু’র পুত্র মোহাম্মদ শোয়ায়েবুল ইসলাম সোয়েব লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে তার সাজা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, সায়েদুল ইসলাম মিঠু স্বঘোষিত গবেষক। আমার মৃত বাবার নামে তিনি ফেসবুকে কটুক্তি করেছেন। তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এছাড়াও বাবার নামে ভবন নিয়েও মিথ্যা প্রচার চালান তিনি।

মুলত তিনি তাহেরা বিদ্যাপীঠের সভাপতি হতে না পেরে এতকিছু করেছেন। তাই সাজার যে রায় হয়েছে সেটা বৃদ্ধির জন্য আমরা এই দাবি জানিয়েছি। এবিষয়ে সায়েদুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমার যদি ৭ বছরের জেলও হয় তবুও বলবো তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কারণ এসবের সব প্রমাণ আছে। আর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়া না হওয়া নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা অমুলক বলে দাবি করেন। তাদের এসব অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে তিনিও সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে অবগত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এএইচ এম সালাউজ্জামান ফারুক, সাবেক কমান্ডার জাকির হোসেন, সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালক মণ্ডলির সদস্য বাবু রতন কুমার সাহা, আহসান হাবীব স্বপন, অধ্যক্ষ আহসান উল হাবিব, উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ-দফতর সম্পাদক ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।