all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও গোপন করার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি গত ১৬ মার্চ অনুমোদন দেয়া হয় বলে সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্র জানিয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২২ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা তিনি নিজে ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। একইসঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ৪৪ লাখ টাকার উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান ও মালিকানা আড়াল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করার চেষ্টা করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এর আগে দুর্নীতির ঘটনায় প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন শুরু করে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। লাগাতার আন্দোলনের ৯ মাসের মাথায় বরখাস্ত করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সাড়ে ৪ কোটি টাকার দুর্নীতির। তবে সেটি ধামাচাপা পড়লে আবারো আন্দোলন শুরু করে সংগঠনটি। স্মারকলিপি দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধামাচাপা পড়ে থাকা সাড়ে ৪ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে ১৮ লক্ষ টাকার দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ হাতে পাওয়ায় আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদক।