প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ৬:৩১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৪, ২০২৪, ৯:৫৬ পি.এম
গাইবান্ধায় বন্যায় ২৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
জেলার চার উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করায় এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুদিন ধরে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা শুরু হয়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারদিকেই এখন শুধু পানি। এর মধ্যে কিছু স্কুলের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। এ কারণেই দুর্গত এলাকার ২৯টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুটি স্কুল স্থানান্তর করা হয়েছে। নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে ওই স্কুল দুটির কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে যে স্কুলগুলোতে এখনো পানি ঢোকেনি সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যার পানি কমার সাথে সাথে এসব স্কুলে পাঠদান শুরু করা হবে।
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। কাঁচা রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর পারাপারে একমাত্র ভরসা এখন নৌকা।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Copyright © 2024 Nababani.com. All rights reserved.