all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ঢাকা জেলার আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর গামেন্টস কর্মী সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) হত্যাকান্ডের মূলহোতা আবু তালেব(২৭)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এবং র্যাব-১২ এর যৌথ আভিযানিক দল গত ১৬ জুন ২০২৪ তারিখ রাতে বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানাধীন ওমরদিঘী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর গামেন্টস কর্মী সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যাকান্ডের মূলহোতা আবু তালেব(২৭), জেলা-বগুড়াকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গত ১৫ জুন ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট মুন্সিপাড়া এলাকায় গামেন্টসকর্মী সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামে এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। উক্ত মৃতদেহের সংবাদ পেয়ে র্যাব ৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বর্ণিত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কার্যক্রম শুরু করে। ভিকটিম সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওয়াকুড়া এলাকার বাসিন্দা এবং সে তার পরিবারের সাথে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট মুন্সিপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিলো।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামী আবু তালেব বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগাড়া এলাকার বাসিন্দা। জীবিকার তাগিদে সে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গামেন্টস এ চাকুরী করে। চাকুরীরত অবস্থায় গত ২০১৩ সালে ভিকটিম সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) এর সাথে প্রেমের একপর্যাযে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবিং বিবাহ পরবর্তীতে তাদের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। আসামীর দ্বিতীয় বিবাহের কারণের তাদের মধ্যকার মনোমালিন্য তীব্র হয় এবং বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে আসামী পুনরায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় তৃতীয় বিবাহের করে সেখানে অবস্থান করলেও ধৃত আসামী প্রায়শই ভিকটিমের ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতো ও মাসশেষে ভিকটিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক তার বেতনের টাকা নিয়ে আসতো। বেতনের টাকা ও তৃতীয় বিবাহের বিষয়টি নিয়ে তাদের মাঝে পূনরায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে গত ১৩ জুন ২০২৪ তারিখ রাতে ভিকটিমের বাসায় গ্রেফতারকৃত আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের ওড়না দিয়ে গলায় চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে মৃতদেহটি রুমের ভিতরে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে দেয় ও রুমের তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী রাজধানীসহ বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।