কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া হাটে পশু কেনা- বেচায় খাজনা আদায়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩জুন) কুরবানি ঈদের আগে সাপ্তাহিক শেষ হাট হওয়ায় বাজারে ছাগলের আমদানির পরিমাণ ছিল উল্লেখযোগ্য। কেনা-বেচা শুরু হতেই বৃদ্ধি পায় হাটে খাজনা আদায়ের টাকার পরিমান। খাসি বা ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতা ৫০০ টাকা ও বিক্রেতার ২০০ টাকা হারে খাজনা আদায় করছে হাট ইজারাদার।
সরজমিনে পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য অনেক ক্রেতা বাজার থেকে ফিরে চলে গেছে ছাগল ক্রয় না করে। অনেকে আবার ছাগল বিক্রয় না করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।
আলমগীর হোসেন বলেন, সকালে হাটে এসেছিলাম খাসিটি বিক্রয়ের জন্য কিন্তু হাটে এসে সকাল থেকেই দেখছি খাজনার নামে চলছে চাঁদাবাজি। আর এটা শুরু করেছে হাট ইজারাদারের লোকজন। তাই খাসি বিক্রয় না করে বাড়ি ফিরতে চাইলে তারা আমাকে বাধা দেয় এবং বলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাজার থেকে বের হওয়া যাবে না।
খাসি ক্রয় করতে আশা ফজলু রহমান জানান, এই হাটের কথা কি আর বলবো। পারেতো আমাদের পকেট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয় খাজনা আদায়কারীরা। প্রশাসনের ব্যর্থতায় কারণে আজ হাটের এই অবস্থা। আমাদের দুঃখ কষ্ট দেখার কেউ নেই।
নাম পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক ইজারাদারের এক কর্মচারী জানায়, কি আর বলবো হাটের কথা। ইনছার চাচা যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবেই হাট আদায় করছি। আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের অশ্লীল ভাষা গালিগালাজ করে। আমি কর্মচারী আমাদের যেভাবে আদায় করতে বলেছে সেভাবে আদায় করছি।
এসব বিষয়ে সাব-ইজারাদার ইনছার আলী সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন ভদ্র মানুষ হাট নেয় না। তাই একটু সমস্যা হয়ে থাকে। ৩৭ লাখ টাকার হাট এবার ৬২ লাখ টাকায় নিয়েছি টাকাগুলো তো সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই তুলতে হবে।
এ বিষয়ে হাট ইজারাদার সুমন সরদার বলে, আশেপাশের সব হাটের থেকে আমার হাটে সবচেয়ে কম টাকা আদায় করা হচ্ছে। একা আমার পক্ষে এত বড় হাট চালানো সম্ভব না। সে কারণে সাব-ইজারাদার হিসাবে ইনসারকে খাসির হাট দেওয়া আছে। তবে হাটে অনিয়ম হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, হাটে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। এর আগেও ঝলমলিয়া হাটের অনিয়মের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে বিষয়টা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।