ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেছেন

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরও আগেই আমরা উন্নত দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতাম – বিভাগীয় কমিশনার

  • ফারহানা খাতুন
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
  • ৪৮৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আমরা আরও আগেই উন্নত দেশ হিসেবে বিশে^র দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতাম। বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ছিলেন। মানুষকে কিভাবে জাগ্রত করা যায়, দেশকে কিভাবে স্বাধীন করা যায়, একটি দেশকে কিভাবে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা যায় সে পরিকল্পনা তাঁর ছিল।
আজ সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেশ গড়ার মতো সময় দেইনি। যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাঁকেই আমরা বাঁচতে দেইনি। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগে কিন্তু, বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন মাত্র ৪ বছর। অথচ, আন্তর্জাতিক মানের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নেতৃত্বের সব গুণাবলিই তাঁর ছিল।
জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সারাবিশ^ জানে। দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের ৩৩ বছর কাটিয়েছেন। তিনি ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর ছিল জাতিকে জাগিয়ে তোলার অসাধারণ ক্ষমতা। তিনি সেদিন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উজ্জ্বীবিত করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যখন ঝিমিয়ে পড়ি তখন তাঁর বক্তব্য শুনে অনুপ্রাণিত হই।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে লেগে পড়েছি। একটু দেরিতে হলেও বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা তা বিনির্মাণ করব। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব।
এসময় তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে সোনার বাংলা নির্মাণের কাজে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।
সভায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন।
সনৎ কুমার সাহা বলেন, কোনো শিশু যে কোনো জায়গায় জন্ম গ্রহণের পর প্রকৃতিগতভাবে কিছু অধিকার পেয়ে থাকে কিন্তু এতেই তার সঠিক বিকাশ হয় না। প্রত্যেক শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজন উন্মূক্ত পরিবেশ। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুদের প্রতি আমাদের অপরিসীম দায়িত্ব রয়েছে। একটি জাতির ভবিষ্যত যেহেতু শিশুদের ওপর নির্ভর করে তাই তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার বিকল্প কিছু নেই। সে কারণে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে কোমলমতি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠার উৎসাহ প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, একটি শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য পরিমিত খাবার ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা পাচ্ছে কিনা, তার সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারছি কিনা তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই শিশুদের অধিকার আদায় হবে, জাতির ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন, আরএমপি’র কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহিন আক্তার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান বক্তব্য রাখেন।
আলোচনাসভার শুরুতে শিশুদের সঙ্গে অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন বিভাগীয় কমিশনার। সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে মহানগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতার ম্যূরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
…………………………………………………….
তৌহিদ/সিকান্দার/রুহুল/হালিম/২০২২/১৪.০০ঘ.

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার ও আমাদের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেছেন

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরও আগেই আমরা উন্নত দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতাম – বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট সময় ০৫:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আমরা আরও আগেই উন্নত দেশ হিসেবে বিশে^র দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতাম। বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ছিলেন। মানুষকে কিভাবে জাগ্রত করা যায়, দেশকে কিভাবে স্বাধীন করা যায়, একটি দেশকে কিভাবে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা যায় সে পরিকল্পনা তাঁর ছিল।
আজ সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেশ গড়ার মতো সময় দেইনি। যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাঁকেই আমরা বাঁচতে দেইনি। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগে কিন্তু, বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন মাত্র ৪ বছর। অথচ, আন্তর্জাতিক মানের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নেতৃত্বের সব গুণাবলিই তাঁর ছিল।
জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সারাবিশ^ জানে। দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের ৩৩ বছর কাটিয়েছেন। তিনি ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর ছিল জাতিকে জাগিয়ে তোলার অসাধারণ ক্ষমতা। তিনি সেদিন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উজ্জ্বীবিত করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যখন ঝিমিয়ে পড়ি তখন তাঁর বক্তব্য শুনে অনুপ্রাণিত হই।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে লেগে পড়েছি। একটু দেরিতে হলেও বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা তা বিনির্মাণ করব। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব।
এসময় তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে সোনার বাংলা নির্মাণের কাজে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।
সভায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন।
সনৎ কুমার সাহা বলেন, কোনো শিশু যে কোনো জায়গায় জন্ম গ্রহণের পর প্রকৃতিগতভাবে কিছু অধিকার পেয়ে থাকে কিন্তু এতেই তার সঠিক বিকাশ হয় না। প্রত্যেক শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজন উন্মূক্ত পরিবেশ। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুদের প্রতি আমাদের অপরিসীম দায়িত্ব রয়েছে। একটি জাতির ভবিষ্যত যেহেতু শিশুদের ওপর নির্ভর করে তাই তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার বিকল্প কিছু নেই। সে কারণে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে কোমলমতি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠার উৎসাহ প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, একটি শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য পরিমিত খাবার ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা পাচ্ছে কিনা, তার সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারছি কিনা তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই শিশুদের অধিকার আদায় হবে, জাতির ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন, আরএমপি’র কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহিন আক্তার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান বক্তব্য রাখেন।
আলোচনাসভার শুরুতে শিশুদের সঙ্গে অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন বিভাগীয় কমিশনার। সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে মহানগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতার ম্যূরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
…………………………………………………….
তৌহিদ/সিকান্দার/রুহুল/হালিম/২০২২/১৪.০০ঘ.