all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর নাজিম উদ্দিন ফকিরের ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও দুজনকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে নওগাঁ সদর মডেল থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, গত ১০ এ জুন রাত্রি অনুমান ১১ ঘটিকা হতে পৌনে ১২ ঘটিকার মধ্যে যেকোনো সময় নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বিল ভবানীপুর গ্রামস্থ ভিকটিম নাজিম উদ্দিন ফকির এর খলিয়ানের আশেপাশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওত পেতে থাকা দুজন হাতুড়ি দ্বারা এলোপাথারি ভাবে মাথায় আঘাত এবং ধারালো চাকু দ্বারা উপুর যুপুরি বুকের নিচে মাঝখানে বুক পেটের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে পালিয়ে যায়। নাজিমুদ্দিন ফকির কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে মৃত ঘোষণা করে ডাক্তার। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে সুজ্জাত এবং মেহেদী হাসান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও হাতুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।
সুজ্জাত জেলার সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বিল ভবানীপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে এবং মেহেদী হাসান জেলার পোরশা থানার গাঙ্গুরিয়া বাজার এলাকার মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান আরো জানান, গত প্রায় এক বছর পূর্বে নাপিত শ্রী প্রদীপ কুমার এর সেলুনে চুল কাটার বিষয় নিয়ে সুজ্জাত প্রদীপকে মারধর করে। পরবর্তীতে গ্রাম্য সালিসে নাজিম উদ্দিন ফকির সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে এবং সুজ্জাতকে ৩০০০০ টাকা জরিমানা করে। এতে সুজ্জাত ক্ষিপ্ত হয়ে নাজিমুদ্দিন ফকিরকে বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি প্রদান করে এবং তার ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পনভাবে সুজ্জাত এবং মেহেদী হাসান নাজিমুদ্দিন ফকিরকে হত্যার জন্য ওৎ পেতে থাকে এবং নাজিমুদ্দিন ফকির মোটরসাইকেল নিয়ে আসা মাত্রই মেহেদী হাসান হাতুড়ি দ্বারা মাথায় আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে নাজিমুদ্দিন ফকির পড়ে যায় তখন সুজ্জাত ধারালো চাকুদারা নাজিমুদ্দিন ফকিরকে উপুর-জুপরি বুকের নিচে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে যখম করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।