Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
জলঢাকায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামার’রা
ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলঢাকায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামার’রা

সামনে  মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কুরবানির ঈদ। তাই এই ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর জলঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা এখন লোহা হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখর।পুড়ছে কয়লা জ্বলছে লোহা।হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনের কাজের উপযুক্ত দ্রব্য সামগ্রী, দা,বটি,ছুরি,চাপাতি সহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা।ঈদুল, আজহারের সময় সাধারণত গরু, ছাগল, ভেঁড়া, উট, দুম্বাকে কুরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকালে ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকেই শুরু হয় পশু কুরবানি। সারাদিন ব্যাপী চলে পশু কুরবানির কাজ। এসব পশুর গোশত কাটতে দাঁ-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।যেহেতু কুরবানির পশু কাটাকুটিতে প্রয়োজন ধারালো দাঁ, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন কামারশালা।আবার অনেক কামাররা তাদের তৈরি করা দাঁ, বটি, ছুড়ি, চাপাতি ইত্যাদি বিক্রি করতে নিয়ে যায় গ্রামের বিভিন্ন হাটে। সারা বছর তেমন বিক্রি না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ বিক্রি বেড়ে যায় কামারদের। এসময় বিক্রিও হয় বেশি।বিক্রেতার সাথে আলাপ করে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দাঁ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৪০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্য বছরের তুলনায় এবছর ঈদ উপলক্ষে দাঁ, চাপাতি ও ছুরির দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কামার দোকানদারদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। আবার অন্যদিকে প্রায় সকল ধরনের দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার সাথে সাথে লোহার দামও অনেক বেড়ে গেছে। তাই দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।সরেজমিন জলঢাকা  উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও হাট বাজার  ঘুরে দেখা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার এবং বিক্রেতারা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে।এ ব্যাপারে কৈইমারী  বাজারের রফিকুল ইসলাম  কামার বলেন, সারা বছর কাজ কম থাকে। কুরবানির ঈদ এলে আমাদের কাজ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৬০থেকে  টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১২০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অপর কামার মনছের আলী বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আমাদের বেচা কেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুই দিন আগে থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বেচাকেনা হবে। তখন আমাদের খাওয়ার সময়ও থাকে না। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০  টাকায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বিক্রি তত বাড়ছে।এ ব্যাপারে ক্রেতা আলমগীর  হোসেন বলেন, আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। অপর ক্রেতা জব্বার মিয়া বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কামাররা তাদের মজুরি, ছুরি, দাঁ, চাপাতির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি একটি চাপাতি ৬০০ টাকা এবং একটি ছুরি ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। যা দুই মাস আগেও ছিল ছুরির দাম ১২০ টাকা ও চাপাতির দাম ৪০০ টাকা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী জেলার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী-সহ গ্রেফতার: ৩

জলঢাকায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামার’রা

আপডেট সময় ০৭:০৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

সামনে  মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কুরবানির ঈদ। তাই এই ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর জলঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা এখন লোহা হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখর।পুড়ছে কয়লা জ্বলছে লোহা।হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনের কাজের উপযুক্ত দ্রব্য সামগ্রী, দা,বটি,ছুরি,চাপাতি সহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা।ঈদুল, আজহারের সময় সাধারণত গরু, ছাগল, ভেঁড়া, উট, দুম্বাকে কুরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকালে ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকেই শুরু হয় পশু কুরবানি। সারাদিন ব্যাপী চলে পশু কুরবানির কাজ। এসব পশুর গোশত কাটতে দাঁ-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।যেহেতু কুরবানির পশু কাটাকুটিতে প্রয়োজন ধারালো দাঁ, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন কামারশালা।আবার অনেক কামাররা তাদের তৈরি করা দাঁ, বটি, ছুড়ি, চাপাতি ইত্যাদি বিক্রি করতে নিয়ে যায় গ্রামের বিভিন্ন হাটে। সারা বছর তেমন বিক্রি না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ বিক্রি বেড়ে যায় কামারদের। এসময় বিক্রিও হয় বেশি।বিক্রেতার সাথে আলাপ করে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দাঁ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৪০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্য বছরের তুলনায় এবছর ঈদ উপলক্ষে দাঁ, চাপাতি ও ছুরির দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কামার দোকানদারদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। আবার অন্যদিকে প্রায় সকল ধরনের দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার সাথে সাথে লোহার দামও অনেক বেড়ে গেছে। তাই দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।সরেজমিন জলঢাকা  উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও হাট বাজার  ঘুরে দেখা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার এবং বিক্রেতারা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে।এ ব্যাপারে কৈইমারী  বাজারের রফিকুল ইসলাম  কামার বলেন, সারা বছর কাজ কম থাকে। কুরবানির ঈদ এলে আমাদের কাজ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৬০থেকে  টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১২০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অপর কামার মনছের আলী বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আমাদের বেচা কেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুই দিন আগে থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বেচাকেনা হবে। তখন আমাদের খাওয়ার সময়ও থাকে না। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০  টাকায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বিক্রি তত বাড়ছে।এ ব্যাপারে ক্রেতা আলমগীর  হোসেন বলেন, আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। অপর ক্রেতা জব্বার মিয়া বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কামাররা তাদের মজুরি, ছুরি, দাঁ, চাপাতির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি একটি চাপাতি ৬০০ টাকা এবং একটি ছুরি ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। যা দুই মাস আগেও ছিল ছুরির দাম ১২০ টাকা ও চাপাতির দাম ৪০০ টাকা।