প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৬:৫৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৭, ২০২৪, ৭:০৬ পি.এম
পলাশবাড়ী সরকারি খাদ্য গুদাম হতে চাল ও গম উ‘ধা’ও
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ১শ ৩১ মে:টন চাল, ৬৮ মে: টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি খালি বস্তার হদিস মিলছে না।
এ ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে অভিযুক্ত করে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাজমুল হক।
ঘটনার তদন্তে গাইবান্ধা সদর সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেওয়ানকে আহবায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধার খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান এসব তথ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, কমিটি গত ৩ জুন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেন। এই রিপোর্টে দেখা যায়, ওই গুদামে ১৩১টন চাল, ৬৮মেট্রিকটন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হিসাব মিলছে না। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওই পরিমান খাদ্য শস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে।
এর পরপরই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান আরো বলেন, সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে ওসি এলএসডি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেন। গত ১৯মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি ইতিমধ্যে দুদকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Copyright © 2024 Nababani.com. All rights reserved.