কথা বলে, বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে সময় নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী নি’হ’ত আলামিন ও কামরুলসহ আরো অনেকেই কলেজের পাশেই মোকদম প্লাজার সামনে যায়। পরে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল হকিস্টিক রামদা,ছুরি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আলামিন ও কামরুলকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কু’পি’য়ে গুরুতর আহত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, নর সুন্দর রামকৃষ্ণ সাংবাদিকদের বলেন, চিৎকারের ডাক শুনে আমি আমার দোকান থেকে বের হতেই আল আমীন রক্তাক্ত অবস্থায় আমার উপরে এসে পড়ে যায় এবং সে প্রাণে বাঁচতে গলির ভিতরে দৌড় দিলে সেখানে গিয়ে হামলাকারীরা তাকে উপর্যপরি আঘাত করে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী পান ব্যবসায়ী শুভ সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল হকিস্টিক রাম দা ছুরি নিয়ে ধাওয়া করলে ভয়ে আমি দোকান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া বেগম বলেন, বুধবার শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিদায়ী অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কোন ধরনের র্যা গ ডে পালনের অনুমতি দেয়া হয়নি। সেই অনুষ্ঠানে কলেজের বেশ প্রয়োজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার জের ধরেই আজকে একটি পক্ষের হামলায় কলেজের একজন ছাত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এ এফ এম নাসিম বলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিদায় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত বুধবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। ওই মারামারির ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাধান করার কথা ছিল। এরই সূত্র ধরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী আহত দুই জনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত কামরুল ইসলাম কে গুরুতর অবস্থায় মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।