all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো। বুধবার (০৫ জুন) বিকেল ৩টায় নগর ভবনের মেয়র দপ্তর কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলোচনাকালে রাজশাহীতে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে কাজ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাসিক মেয়র।
বৈঠকের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র। এরপর প্রায় ঘন্টাব্যাপী দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের হাতে ‘ম্যাংগো ক্রেস্ট’ ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন রাসিক মেয়র। এ সময় সিটি মেয়রকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হরু হারতান্তো সুবোলো বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় উন্নতমানের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের এক বছর মেয়াদী স্কলারশীপ এবং আর্ট এন্ড কালচারাল ক্ষেত্রে ৩ মাস মেয়াদী স্কলারশীপ প্রদানের মাধ্যমে উভয় দেশের জ্ঞান ও সংস্কৃতি বিনিময় করতে চাই। এছাড়া রাজশাহী যেহেতু কৃষিপ্রধান অঞ্চল, তাই এ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।
তিনি আরো বলেন, এটি আমার রাজশাহীতে প্রথম সফর। রাজশাহীর পরিচ্ছন্নতা ও সিটি মেয়রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ভিশন দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইন্দোনেশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়েছে। বৈঠককালে তিনি রাজশাহীর সঙ্গে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন ইত্যাদি খাতে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোলার প্লান্ট স্থাপন, শিক্ষার্থীদের স্কলারশীপ ও ট্যুরিজমের কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করা যায়, সেটি আমরা রাষ্ট্রদূতকে সুর্নিদিষ্টভাবে লিখিতভাবে জানাবো।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী কৃষি প্রধান অঞ্চল। কৃষিপণ্য ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়া শিক্ষানগরী রাজশাহীতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের স্কলারশীপ প্রদানের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত আগ্রহী। এটি চালু হলে জ্ঞান বিনিময়ে উভয় দেশ লাভবান হবে।
বৈঠকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহের উদ্দিন, ৪নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলফাতুন নেছা, ৪নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলফাতুন নেছা, ৭নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমদ আল মঈন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) অনন্য ইসলাম নির্ঝর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।