বাণীতে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির মহান গর্বিত ঐতিহাসিক দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস। পাকিস্তানী অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে গণজাগণের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার হবার পূর্ব মহুর্তে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে বাঙালিরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বাণীতে রাসিক মেয়র আরো বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান এবং ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। তবে এখন আনন্দের বিষয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়ছেন। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী যে গতিতে উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন, তাতে আগামী ২০৪১ সাগের আগেই বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা সর্ম্পকে জানাতে হবে। আমি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।