২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ বিকাল-১৬.০০ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন নওদাপাড়া আমচত্ত্বর বিআরটিএ মেইন গেইট এর সামনে রাজশাহী টু নাটোরগামী হাইওয়ে রাস্তার উপর এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে গাঁজা-৫০ কেজি, পিকআপ-০১ টি, গাড়ীর কাগজপত্র-০১ সেট, কাঠের গুড়া-৫০ বস্তা, মোবাইল-০৩টি, সীমকার্ড-০৩টি, উদ্ধার করেন এবং আসামী ১। মোঃ শামিম আক্তার (৩৫), পিতা-মোঃ লোকমান আলী, সাং-সুলতানগঞ্জ, ২। মোঃ হামদুল ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ ফারুক হোসেন, সাং-মাধবপুর, উভয় থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী ‘কে গ্রেফতার করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ ০১টি পিকআপ যোগে নাটোর হতে রাজশাহী জেলার এলাকার দিকে আসছে। উক্ত সংবাদ পাওয়া মাত্রই র্যাবের গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন নওদাপাড়া আমচত্ত্বর সাকিনস্থ বিআরটিএ মেইন গেইট এর সামনে রাজশাহী টু নাটোরগামী হাইওয়ে রাস্তার উপর চেকপোষ্ট পরিচালনা করে। চেকপোষ্ট করাকালীন উপরোক্ত ঘটনাস্থলে নাটোর টু রাজশাহী অভিমুখে ০১টি হলুদ-নীল রংয়ের কাঠের গুড়ার বস্তা ভর্তি পিকআপ আসলে সিগন্যাল দিয়ে গতিরোধ করে ঘটনাস্থল বর্নিত হাইওয়ে রাস্তার পার্শ্বে দাঁড় করানো মাত্রই পিকআপের দরজা খুলে ০৩ জন ব্যক্তি (ড্রাইভারের আসনে থাকা) পালানোর চেষ্টাকালে র্যাবের টিম ঘটনাস্থলে ০২ জন কে আটক করে এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় যে, পরস্পর যোগসাজসে উক্ত মাদকদ্রব্য গাঁজা পিকআপে বিশেষ কায়দায় লোডকৃত কাঠের গুড়া ভর্তি বস্তা গুলোর নিচে ০৪ টি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর অভিনব পদ্ধতিতে লুকিয়ে সুদূর বিঃ বাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে সংগ্রহ করে গাঁজাসহ বর্নিত ঘটনাস্থল হয়ে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানা এলাকার দিকে নিয়ে আসতেছিল।
উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানায় মাদক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।