রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৮ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মাদককারবারিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উপজেলার মাদারপুর ডিমভাঙ্গা এলাকায় একাটি খামারবাড়ীর ভিতরে কয়েকটি স্থানে বালির স্তুপের মধ্যে প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগের মধ্যে এই হেরোইনগুলো রাখা ছিল।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার রাত ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত হেরোইন গুলোর আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এই ঘটনায় পলাতক আসামী করে খামারের মালিক ওই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ফরিদুল ইসলাম ও বাড়ীর কেয়ারটেকার মহিশালবাড়ী গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে সোহেল রানার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, গোপন তথ্যে গোদাগাড়ীর মাদারপুর ডিমভাঙ্গা মহল্লায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে এ হেরোইন গুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ওই খামারবাড়ির মালিক ও তার কেয়ারটেকার পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খামারবাড়ির মালিক ফরিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক ব্যক্তির। তিনি ভারত থেকে এই হেরোইন নিয়ে আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের জন্য বাজারের ব্যাগে বালুর স্তুপের মধ্যে মজুদ রেখেছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই খামার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় বাড়ির মালিক ফরিদুল ও কেয়ারটেকার সোহেল রানা কৌশলে দেওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের ধাওয়া দিলে আটক করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সুপার বলেন, ফরিদুল ও সোহেল চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদকের মামলা হয়েছে। জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারে জড়িয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করতো। এই দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সার্কেল) সোহেল রানা, জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ওসি আব্দুল হাই ও গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন।