রাজশাহীর তিন উপজেলায় তিনটি ভোটকেন্দ্রে আগুন ও অপর আরেকটি ভোট কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীর বাগমারা, মোহনপুর ও বাঘা উপজেলায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বাগমারার ভোটকেন্দ্রের অফিস কক্ষে ককটেল ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে করে জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে আগুন ধরে যায় এবং সেখানে থাকা বইপত্র পুড়ে যায়। সেখান থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাঘার একটি ভোটকেন্দ্রের অফিসকক্ষ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। অন্য তিনটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
স্কুল চারটি হলো- বাঘা উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, তাদের স্কুলটি ভোটকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে আগুন দেয়। এতে দুটি বেঞ্চ ও একটি চেয়ার পুড়ে গেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
মোহনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে না আসে সে কারনে এধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গুরুত্ব সহকারে ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে দুটি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল পাওয়া গেছে। বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্যরা অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল দুটি নিস্ক্রিয় করেছে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পরিত্যাক্ত ভবনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এটি মূল ভোটকেন্দ্রের বাইরের অংশ। এই আগুনের ফলে ভোট কেন্দ্রের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এছাড়া আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের অফিসে আগুন লেগেছে। এতে কিছু বই ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্তুকি শর্ট সার্কিটের কারণে এই স্কুলে আগুন ধরেছে। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোন স্কুলে কীভাবে আগুন লেগেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’