ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পর এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থেকে সামিউর রহমান (২৫) নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আটক সামিউর নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সামিউর চিকিৎসক সেজে হাসপাতালের ওটিতে প্রবেশ করেন। এর পর জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর ফলে দায়িত্বরত কর্মীদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে সেখানে যান হাসপাতালের আনসার বাহিনীর ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে তার আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। পরে পরিচালকের নির্দেশে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ জানান, সামিউর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছাত্র ছিলেন। একসময় রামেক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এ কারণে হাসপাতালের কোথায় কি আছে তিনি জানেন। সামিউর চিকিৎসকের ভুয়া কার্ড তৈরি করে হাসপাতালে এসেছিলেন। তার কাছ থেকে দুটি ভুয়া আইডি কার্ড এবং একটি জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র পাওয়া গেছে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, ভুয়া চিকিৎসক সামিউরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এর আগে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে রোববার তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।