Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
রাজশাহীতে ফলের দাম কমলেও বাড়েনি বিক্রি
ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ফলের দাম কমলেও বাড়েনি বিক্রি

শীতকাল আসায় রাজশাহীর বাজারে

শীতকাল আসায় রাজশাহীর বাজারে কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফলের দাম। মৌসুমি ফলের দাম রয়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যে।
তবে ফলের দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজশাহী সাহেববাজার,কোটবাজার,লক্ষেপুর,রেল গেট,শালবাগান এলাকার ফলের দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এলাকার ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে মানভেদে প্রতিকেজি অস্ট্রেলিয়ান আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, ফুজি আপেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, গালা আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রিমিয়াম আপেল ২৬০ টাকা, চায়না গালা আপেল ২৫০ টাকা, কমলা ১৮০ টাকা, মাল্টা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, কমলা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, ড্রাগন ২০০ টাকা, আনার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, নাশপাতি ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, চাইনিজ কমলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৩০০ টাকা, পাতা কমলা ৩০০ টাকা, লাল আঙুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, সাদা আঙুর ৩২০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, এক মাস আগেও প্রতিকেজি মাল্টা ৪০০ টাকা, কমলা ৩০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩৮০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ২৮০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ৩৫০ টাকা, চাইনিজ কমলা ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৪০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা।
কয়েক ধরনের আপেল নতুন এসেছে, যেগুলো এক মাস আগে বাজারে ছিল না।
দোকানের তুলনায় ভ্যানে করে ফল আরও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।
গত কয়েক মাস ধরে আকাশছোঁয়া বিদেশি ফলের দাম কমার কারণ হিসেবে তারা জানান, শীতকালে আপেল, কমলা, আঙুরের মতো ফলের সিজন। তা ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে ফলের দাম বাড়তি থাকায় বিক্রি প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই বিদেশি ফলের দাম কমেছে। সামনে দাম আরও কমবে।
তবে এতেও বিক্রি বাড়েনি বলে দাবি করেছেন প্রায় সব বিক্রেতা। সাহেব বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, বাড়তি দামের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কমে গিয়েছিল। ক্রেতারা কিনছিল না। এদিকে বিভিন্ন বিদেশি ফলের সিজনও শুরু হয়েছে। শীতকালে কমলা, আপেলের মতো ফলের দাম কম থাকে। তাই প্রায় সবধরনের বিদেশি ফলের দাম কমেছে।
দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগে শীতকালে প্রতিকেজি আপেল বিক্রি করতাম ১৫০ টাকায়। কিন্তু এখন দাম কমেও ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলের দাম কমলেও সেটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে আসেনি। তাই বিক্রি বাড়েনি। গত কয়েক মাসে আমাদের বিক্রি তিন ভাগের দুই ভাগ কমে গেছে। আগে দৈনিক ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারতাম। আর এখন পাঁচ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতেও কষ্ট হয়।
একই কথা বলেন ফল ব্যবসায়ী মিলন শেখ । তিনি বলেন, মানুষের কাছে টাকা নেই। অথচ দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়ছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করার পর ফল কিনতে আসে। মানুষ তো ঠিকমতো বাজারই করতে পারে না। ফল কিনবে কী করে? আমাদের ব্যবসার অবস্থা একেবারেই খারাপ।
এদিকে দেশি ফলের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁপে ৯০ টাকা, পেয়ারা ৬০ থেকে ৯০ টাকা, চাপা কলা (ডজন) ৯০ টাকা, সাগর কলা (ডজন) ৯০ টাকা, বরই (প্রতিকেজি) ২৪০ টাকা, জলপাই ৮০ টাকা, আমলকি ৩০০ টাকা, সাম্মাম ১৮০ টাকা, সফেদা ১৫০ টাকা, আতা ৪০০ টাকা, কালো তরমুজ ৯০ টাকা, আমড়া ১২০ টাকা, আনারস (প্রতিপিস) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কদবেল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

রাজশাহীতে ফলের দাম কমলেও বাড়েনি বিক্রি

আপডেট সময় ০৫:২৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
শীতকাল আসায় রাজশাহীর বাজারে কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফলের দাম। মৌসুমি ফলের দাম রয়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যে।
তবে ফলের দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজশাহী সাহেববাজার,কোটবাজার,লক্ষেপুর,রেল গেট,শালবাগান এলাকার ফলের দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এলাকার ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে মানভেদে প্রতিকেজি অস্ট্রেলিয়ান আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, ফুজি আপেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, গালা আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রিমিয়াম আপেল ২৬০ টাকা, চায়না গালা আপেল ২৫০ টাকা, কমলা ১৮০ টাকা, মাল্টা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, কমলা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, ড্রাগন ২০০ টাকা, আনার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, নাশপাতি ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, চাইনিজ কমলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৩০০ টাকা, পাতা কমলা ৩০০ টাকা, লাল আঙুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, সাদা আঙুর ৩২০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, এক মাস আগেও প্রতিকেজি মাল্টা ৪০০ টাকা, কমলা ৩০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩৮০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ২৮০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ৩৫০ টাকা, চাইনিজ কমলা ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৪০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা।
কয়েক ধরনের আপেল নতুন এসেছে, যেগুলো এক মাস আগে বাজারে ছিল না।
দোকানের তুলনায় ভ্যানে করে ফল আরও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।
গত কয়েক মাস ধরে আকাশছোঁয়া বিদেশি ফলের দাম কমার কারণ হিসেবে তারা জানান, শীতকালে আপেল, কমলা, আঙুরের মতো ফলের সিজন। তা ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে ফলের দাম বাড়তি থাকায় বিক্রি প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই বিদেশি ফলের দাম কমেছে। সামনে দাম আরও কমবে।
তবে এতেও বিক্রি বাড়েনি বলে দাবি করেছেন প্রায় সব বিক্রেতা। সাহেব বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, বাড়তি দামের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কমে গিয়েছিল। ক্রেতারা কিনছিল না। এদিকে বিভিন্ন বিদেশি ফলের সিজনও শুরু হয়েছে। শীতকালে কমলা, আপেলের মতো ফলের দাম কম থাকে। তাই প্রায় সবধরনের বিদেশি ফলের দাম কমেছে।
দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগে শীতকালে প্রতিকেজি আপেল বিক্রি করতাম ১৫০ টাকায়। কিন্তু এখন দাম কমেও ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলের দাম কমলেও সেটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে আসেনি। তাই বিক্রি বাড়েনি। গত কয়েক মাসে আমাদের বিক্রি তিন ভাগের দুই ভাগ কমে গেছে। আগে দৈনিক ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারতাম। আর এখন পাঁচ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতেও কষ্ট হয়।
একই কথা বলেন ফল ব্যবসায়ী মিলন শেখ । তিনি বলেন, মানুষের কাছে টাকা নেই। অথচ দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়ছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করার পর ফল কিনতে আসে। মানুষ তো ঠিকমতো বাজারই করতে পারে না। ফল কিনবে কী করে? আমাদের ব্যবসার অবস্থা একেবারেই খারাপ।
এদিকে দেশি ফলের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁপে ৯০ টাকা, পেয়ারা ৬০ থেকে ৯০ টাকা, চাপা কলা (ডজন) ৯০ টাকা, সাগর কলা (ডজন) ৯০ টাকা, বরই (প্রতিকেজি) ২৪০ টাকা, জলপাই ৮০ টাকা, আমলকি ৩০০ টাকা, সাম্মাম ১৮০ টাকা, সফেদা ১৫০ টাকা, আতা ৪০০ টাকা, কালো তরমুজ ৯০ টাকা, আমড়া ১২০ টাকা, আনারস (প্রতিপিস) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কদবেল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।