all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, গতকাল কে কী বলেছে সেসব ভুলে যান। নতুন উদ্দিপনা নিয়ে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকবে না। নৌকা প্রতীক বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, বঙ্গবন্ধু কণ্যার প্রতীক। এই প্রতীকের মান রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আজ থেকে সব ভেদাভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিটি কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে বিমানযোগে রাজশাহী পৌঁছে সমবেত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের চিঠি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী ফেরেন আসাদুজ্জামান। তার আগমনের খবরে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী বিমানবন্দরে জড়ো হন। তারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথচলা মানুষ। আগামী ৭ জানুয়ারী পবা-মোহনপুরের নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোথাও কেউ কোন ধরনের অশান্তিকর কিছু করবেন না, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙবেন না। প্রতিটি কর্মীকে আচরণ বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে আসাদুজ্জামান নেতা কর্মীদের বলেন, কোথাও কোন ধরনের শো ডাউন করবেন না।
রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে আমার রাজনীতি জীবনের পূর্ণতা দিয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী, সেই চিন্তা মাথায় রেখেই আগামীতে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমরা আওয়ামী লীগ, সবাই মিলেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। গতকাল কে কী বলেছে সেসব ভুলে যান। সারাদেশে ৩৭০০ মানুষ মনোনয়ন তুলেছিল, সেখান থেকে ২৯৮ জন মানুষ মনোনয়ন পেয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি সারা বাংলাদেশের সেরা ফুলগুলো তুলে নিব।’ তার মানে এই না বাকি ফুলগুলো নষ্ট ফুল।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আসাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। পবা-মোহনপুরবাসীর কাছে আমার দাবি, ভালো মানুষ দেখে আপনারা ভোট দিবেন। সেই ভালো মানুষ যদি আমি হই আমাকে দিবেন। আর আমার চেয়েও যদি যোগ্য কেউ থাকে আপনারা তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
আপনাদের এটুকু আশ্বাস দিতে চাই, আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি তবে পবা-মোহনপুরে এমপির আওয়ামী লীগ হবে না, আওয়ামী লীগের এমপি হবে। এই পবা-মোহনপুরের মাটিতে মাদক ব্যবসা বলে কিছু থাকবে না। দল, মত নির্বিশেষে পবা-মোহনবাসীসহ পুরো রাজশাহী জেলার মানুষের জন্য আমার দরজা জন্য অতীতের ন্যায় আগামীতেও খোলা থাকবে বলে আশ্বাস দেন নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী।
এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের অপর প্রার্থীদের সাথেও সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের আহ্বান জানান আসাদ।
বিমানবন্দর থেকে আসাদুজ্জামান পবা উপজেলা পরিষদে যান। সেখানে তিনি পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় স্থানীয় নেতা কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে আসাদুজ্জামান আসাদ শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের মাজারে ফল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি নগর ভবনে গিয়ে মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় মেয়র লিটন নৌকার প্রার্থী আসাদকে মিষ্টিমুখ করান।
নগরভবন থেকে বেরিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ হযরত শাহমখদুম (র.) এর মাজার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন এবং নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মোনাজাত করেন।