all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও বিমান পথের মাধ্যমে এতদিন আসা গেলেও আজ থেকে যুক্ত হলো নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কে ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার।
সমুদ্রের শহরে গিয়ে আজ চট্টগ্রাম (দোহাজারী)-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন করেন সেখানে স্থাপিত আইকনিক রেল স্টেশনও।
দুপুর ১টায় উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে ১টা ২৭ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় একটি ট্রেন। রামুতে পৌঁছে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য গর্বের দিন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারী-চকোরিয়া এবং চকোরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।
এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।