ভারত থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানির প্রভাবে দুদিনেই পাল্টে গেছে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাইকারি ও খুচরা বাজারের চিত্র ।
গেল দু’দিনে প্রতি কেজিতে কমেছে আলুর দাম ১২ থেকে ১৫টাকা, পেঁয়াজের দাম ২৮ থেকে ৩২ টাকা । ৬ অক্টোবর সকালে রাজশাহীর বাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানে কমতি এ দামে বেচা বিক্রি দেখা যায় ।
রাজশাহীর বাজারে দেশীয় আলুর দাম মাত্র দুদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১২-১৫ টাকা কমে দেশী আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায় । আর ভারত থেকে আমদানি করা আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকায়।
অন্যদিকে পেয়াজের দামও দুদিনের ব্যবধানে কমেছে অন্তত কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০থেকে১২০ টাকা কেজি দরে । আর ভারতীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।
আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা জোহরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় আলু আমদানির দুদিন আগেও দেশি আলু ছিল ৫০ টাকা কেজি আড়তে । এখন তা ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ভারতীয় আলু ৩৩ থেকে৩৪ টাকায়।
খুচরো আলু বিক্রেতা মামুন জানান, দেশী আলু বিক্রি করছেন ৪০-৪২ টাকায় । আর ভারতীয় আলু বিক্রি করছেন ৩৬-৩৮ টাকা কেজি ।
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আনারুল ইসলাম জানান, দু’চার দিন আগে ছিল, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা কেজি। এখন তা কমে ৫০-৭০ টাকা কেজি । পেয়াঁজের খুচরো বিক্রেতা মনিরুল জানান, এখন দেশি পেঁয়াজ ১১০ – ১২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ।
বিক্রেতারা বলছেন,আলু ও পেঁয়াজ আমদানী অব্যাহত থাকলে আলুর দাম আরো কমে কেজি প্রতি অন্তত ৩০ টাকা হবে। অন্যদিকে পেয়াজের দাম আরো কিছুটা কমতে পারে ।
তবে ভারত থেকে আসা আলুর বস্তায় ছোট ও কাটা ফাঁটা আলু থাকায় কিছুটা অসন্তোষ আছে ব্যবসায়ীদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দর কাস্টমের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, শুক্র ও শনিবার দুদিনে ২১ টি ট্রাকে ৫৬৮ মেট্রিক টন আলু এসেছে ভারত থেকে। এ ছাড়াও শনিবার এ বন্দর দিয়ে ৫১টি ট্রাকে ১৪৫৩ মেট্রিক টন পেয়াজও আমদানী হয়েছে।