Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
নগর জামায়াতের গোপন দরবার হলে পুলিশের হানা,নারী চিকিৎসক আটক
ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগর জামায়াতের গোপন দরবার হলে পুলিশের হানা,নারী চিকিৎসক আটক

ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৪ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ডিবি ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। তার বাড়িতে চালানো হয় তল্লাশী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখক বই ও কাগজপত্র পাওয়া যায় তার বাসায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ- কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, “ সন্দেহভাজন হিসেবে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে চলতি বছরের মে মাসে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় দায়ের করা একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়।”
তিনি বলেন, ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার বাড়িটিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বৈঠকেও করেন। মূলত জামায়াতের লোকজন সেখানে গোপন বৈঠক করেছে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাড়ি থেকে কিছু জামায়াতের বই ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে।”
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, “ফাতেমা সিদ্দিকা আমাদের একজন সমর্থক। তিনি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন। বিনা কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেপ্তারের নিন্দা জানায় এবং দ্রুত তার মুক্তি দাবি করি।”
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের খ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গত ৪ এপ্রিল ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। ফাতেমা সিদ্দিকা ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে দুদককে খবর দিয়েছিল।
এছাড়াও গত ৭ সেপ্টেম্বর ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

নগর জামায়াতের গোপন দরবার হলে পুলিশের হানা,নারী চিকিৎসক আটক

আপডেট সময় ০৩:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৪ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ডিবি ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। তার বাড়িতে চালানো হয় তল্লাশী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখক বই ও কাগজপত্র পাওয়া যায় তার বাসায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ- কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, “ সন্দেহভাজন হিসেবে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে চলতি বছরের মে মাসে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় দায়ের করা একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়।”
তিনি বলেন, ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার বাড়িটিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বৈঠকেও করেন। মূলত জামায়াতের লোকজন সেখানে গোপন বৈঠক করেছে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাড়ি থেকে কিছু জামায়াতের বই ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে।”
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, “ফাতেমা সিদ্দিকা আমাদের একজন সমর্থক। তিনি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন। বিনা কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেপ্তারের নিন্দা জানায় এবং দ্রুত তার মুক্তি দাবি করি।”
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের খ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গত ৪ এপ্রিল ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। ফাতেমা সিদ্দিকা ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে দুদককে খবর দিয়েছিল।
এছাড়াও গত ৭ সেপ্টেম্বর ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।