রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানা এলাকায় দুই কিশোরকে কুপিয়ে জখম করা এবং হাতে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে নাচানাচি’র ভাইরাল ভিডিও’র কিশোর গ্যাং এর ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ ও রাজশাহী গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ টিম। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার গনমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান আরএমপি মিডিয়া মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো: সোহেল রানা (২১), মো: মনিরুল ইসলাম অপূর্ব (২২), মো: রফিকুল ইসলাম সম্রাট (২১) মো: নাজমুস সাকিব আবির (২১), মো: মোহাইমিনুল শেখ (২০), মো: জিসাদ (২০) ও মো: মারুফ হোসেন (২১)। সোহেল রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়ার মো: মাসুমের ছেলে, মনিরুল একই এলাকার মো: রাজু আহমেদের ছেলে, সম্রাট মো: নজরুল ইসলামের ছেলে, আবির মো: আব্দুর রহিমের ছেলে, মোহাইমিনুল মো: রিপন শেখে ছেলে, জিসাদ মো: জসিম উদ্দিনের ছেলে ও মারুফ বড়বনগ্রাম চকপাড়ার মো: সালাম হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়ার আরডিএ মাঠের সামনে হতে মো: আরাফাত ও তার বন্ধু সাব্বিরকে গ্রেপ্তারকৃত কিশোর গ্যাংসহ আরো কয়েকজন অপহরণ করে বনলতা আবাসিক এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আরাফাত ও সাব্বিরকে গুরুতর জখম করে। এই ঘটনায় গতকাল ৩১ অক্টোবর শাহমখদুম থানায় একটি মামলা হয়।
এদিকে সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ভিডিওতে দেখা যায়, আরাফাত ও সাব্বিরকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা গুরুতর জখম করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিরা রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম গাঙপাড়া এলাকায় হাতে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে নাচানাচি করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে আসে।
পরবর্তীতে আরএমপি’র শাহমখদুম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: নুর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোসা: আরজিনা খাতুনের নেতৃত্বে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেন, শাহমখদুম থানা পুলিশ ও আরএমপি ডিবি’র একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩১ অক্টোবর দিবাগত রাতে শাহমখদুম থানা এলাকাসহ রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আরাফাত ও সাব্বিরকে গুরুতর জখমের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে তারা। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা করা হয়।