all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114রাজশাহীতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উল্লাস করছে একদল কিশোর। বাজনার তালে তালে তারা অস্ত্র উচিয়ে নাচানাচিও করছে। এমন একটি ভিডিও মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বলা হচ্ছে, অস্ত্র হাতে কিশোরদের এই উল্লাসের ভিডিও রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার গাংপাড়া এলাকার। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শাহ মখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি এই ভিডিও অন্তত চার মাস আগের। তখন আমি এই থানার ওসি ছিলাম না। নাচানাচির সময় ওরা নিজেরাই ভিডিওটা করেছিল। মঙ্গলবার সেটা ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
ওসি জানান, এই কিশোর গ্যাং গ্রুপেরই এক ছেলের নাম আরাফাত। তাকে চারদিন আগে একই গ্রুপের অন্যরা মেরেছে। আরাফাত এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ছেলেটাকে মারধরের কারণে তার পক্ষের কেউ ভিডিওটা ছেড়ে দিয়েছে। আরাফাতের অভিভাবক গত সোমবার থানায় অভিযোগ করতে এসেছিলেন।
কিন্তু তিনি কারো নাম জানাতে পারেননি। তবে মামলা হয়েছে। এখন কারা আরাফাতের ওপর হামলা করেছে এবং চার মাস আগে কারা অস্ত্র হাতে উল্লাস করছিল তার সবকিছুই বেরিয়ে আসবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আরাফাতের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। ইতোমধ্যে তার মাথায় অস্ত্রপাচার করা হয়েছে। এখনো শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, চারদিন আগে হাসপাতালে আনার পরেই আরাফাতকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। শাহ মখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, কিশোর আরাফাতের উপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার বাদী আরাফাতের ভাই হুমায়ুন কবির। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা আরাফাতের উপর হামলা করেছে এবং অস্ত্র হাতে কারা উল্লাস করছিল তা তদন্তেই পাওয়া যাবে। তদন্তে যাদের পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।