দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা টানা তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিনের অবরোধ চলছে। রাজশাহী থেকে দূর পাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। রাজশাহীর বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, যাত্রী সংখ্যা খুব সিমীত থাকায় বাস কম চলছে। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ও ৯ টায় রাজশাহী মহানগরীর শহীদ কামারুজ্জামান চত্ত্বর (রেলগেট) থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গামী যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে গেছে।
বাস শ্রমিকরা আরো জানান, বাস মালিক বা শ্রমিক সংগঠন থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকার নির্দেশান দিয়েছেন। আমরা যাত্রীর অপেক্ষায় আছি যাত্রী হলেই বাস ছেড়ে যাচ্ছি।
রাজশাহী মহানগরীর সিরোইল বাস টার্মিনাল, ভদ্রা, রেলগেট কামারুজ্জামান চত্ত্বর, বর্ণালী, বহরুমপুর, তালাইমারীসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ভাবে চলতে দেখা গেছে।
অটোরিকশা চালকরা বলছেন, অন্যান্য দিনেরই মতই আমরা গাড়ী চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। তবে মনে এক রকম আতঙ্গ বিরাজ করছে। আমরা চাই হরতাল না দিয়ে অন্যকোন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন বিএনপি করুক।
অটোরিকশায় আসা এক স্কুল শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে অগ্রণী স্কুলে গিয়েছিলাম। তাকে স্কুলে রেখে বাসায় যাচ্ছি। তবে রাস্তায় কোন অসুবিধা হয়নি। অন্যদিনের মতই স্বাভাবিক ভাবে বাচ্চাকে স্কুলে রেখে আসলামসর্বাত্মক অবরোধ চলছে। তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি রাজশাহী। অবরোধের প্রথম দিনে ছিল যান চলাচল স্বাভাবিক।
নগরীর ভদ্রা থেকে কয়েকটি বাস ছাড়তে দেখা গেছে। কিন্তু শিরোইল বাসস্ট্যান্ড থেকে দুরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে দেখা যায়নি।
এদিকে সকালে সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও র্যাবকে বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। সে সাথে নিরাপত্তায় আছে বিজিবিও।
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি আজ থেকে শুরু হয়েছে। তিন দিনের এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।