রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, বিএনপির সাথে আর কোন আলোচনা নয়, এখন ফয়সালা হবে রাজপথে। তারা শান্তি সমাবেশের নামে রাজধানীতে যে নারকীয় কাণ্ড ঘটিয়েছে এর পর আর তাদের সাথে আলোচনার কিছু থাকতে পারে না। তাদের আর বিশ্বাস করা যায় না। শনিবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে রাজনৈতিক দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ, আরো এগিয়ে যাবে এই প্রত্যায়ে ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে সামাবেশে প্রধান অতিধির বক্তব্যে আসাদ এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, বিএনপি কোন সময় জনগনের পক্ষে কথা বলে নি। তারা জনগনের দুরোগ বাড়ানো ছাড়া কিছু করে না। আজকে তারা সমাবেশের নামে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। পুলিশকে হত্যা করেছে। তাদের সাথে আর কোন আলোচনা হবে না। রাজপথেই মোকাবেলা হবে।
দলীয় নেতা কর্ম ীদের উদ্দেশ্যেে আসাদ বলেন, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের অপচেষ্টার মোকাবেলা করতে হবে। আজ তারা ঢাকায় নৈরাজ্য করেছে, এখন তারা সারাদেশেই অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইবে। পরিবেশ অশান্ত করে তারা ফায়দা হাসিল করতে চাইবে। কিন্তু বিএনপি জামায়াতকে আর অপরাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। যেখনেই তাদের অগুন সন্ত্রাস করতে দেখা যাবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাড়া থেকে মহল্লা এমনকি রাজপথে যেখানেই বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করবে সেখানেই তাদেরকে গণধোলায় দিয়ে ঘরে তুলে দিতে হবে।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আসাদ বলেন, বিএনপি কথায় কথায় সরকার পতনের আন্দোলন করে। তারা চাই সরকারের পতন। কিন্তু কী কারণে তারা সরকার পতন চায় সেটি তারা বলে না। তারা বলে না তারা ক্ষমতায় গেলে দাম কমাবে। তারা উন্নয়ন করবে। কেন আন্দোলোন করে সেটি তারা বলে না। সাংবাদিকরা যখন চাপাচাপি করে তথন তারা বলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ঐ তারেক হলো বিশ্বের সব চেয়ে বড় সন্ত্রাসী। তারা বলে তাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। আপনাদের নেত্রীতো টাকা চুরি করে জেলে আছে।