ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫,৭২০ জন কৃষককে সার ও বীজ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৫:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

৫ হাজার ৭২০ জন কৃষককে সার ও বীজ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৬৬৬টি পরিবারকে মুরগি বিতরণ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী ।
অনুষ্ঠানে আনুমানিক ৫৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ২১০ কেজি বীজ, ৬০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫০ হাজার ৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। এ বছর রবি প্রণোদনার আওতায় পোরশা উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষকেরা দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। তাঁদের কারণেই আমাদের ফসল উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে আর আমরা খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সরকারও সবসময় কৃষকের পাশে থেকেছে। সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কৃষকের ভূমিকা অনেক বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষকেরা বিষয়টি অনুধাবন করে উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক যাতে সহজে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে সেজন্য স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে গেলেও তাঁদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। ভেজা ধান ড্রায়ারে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। মজুত ক্ষমতা বাড়াতে সরকার সারাদেশে আরও দুইশত পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে ৩০টি সাইলো একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলে তিনি জানান। এ সময় মন্ত্রী আরও জানান, দেশে সারের অভাব নেই, পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। সরকার সার আমদানিতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬৬৬টি পরিবারের মাঝে ১৩ হাজার ৩২০টি মুরগি বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী। শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নয়, পিছিয়ে পড়া সকল জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিচ্ছে সরকার এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি জনগণকে দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশে থাকার আহ্ববান জানান।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীবুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার ও আমাদের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

৫,৭২০ জন কৃষককে সার ও বীজ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

৫ হাজার ৭২০ জন কৃষককে সার ও বীজ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৬৬৬টি পরিবারকে মুরগি বিতরণ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী ।
অনুষ্ঠানে আনুমানিক ৫৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ২১০ কেজি বীজ, ৬০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫০ হাজার ৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। এ বছর রবি প্রণোদনার আওতায় পোরশা উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষকেরা দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। তাঁদের কারণেই আমাদের ফসল উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে আর আমরা খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সরকারও সবসময় কৃষকের পাশে থেকেছে। সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কৃষকের ভূমিকা অনেক বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষকেরা বিষয়টি অনুধাবন করে উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক যাতে সহজে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে সেজন্য স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে গেলেও তাঁদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। ভেজা ধান ড্রায়ারে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। মজুত ক্ষমতা বাড়াতে সরকার সারাদেশে আরও দুইশত পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে ৩০টি সাইলো একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলে তিনি জানান। এ সময় মন্ত্রী আরও জানান, দেশে সারের অভাব নেই, পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। সরকার সার আমদানিতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬৬৬টি পরিবারের মাঝে ১৩ হাজার ৩২০টি মুরগি বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী। শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নয়, পিছিয়ে পড়া সকল জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিচ্ছে সরকার এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি জনগণকে দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশে থাকার আহ্ববান জানান।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীবুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।